পদ্মা ও মেঘনাবেষ্টিত শরীয়তপুর জেলায় প্রতি বছর দেখা দেয় নদীভাঙন। এ বছর ভাঙনের তীব্রতা বেশি। প্রতিনিয়ত ভাঙনে জেলার মানচিত্রের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে। ভাঙনের কবলে পড়ে সর্বস্বহারা হাজার হাজার মানুষ বার্ষিক ভাড়া ভিত্তিতে অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছেন। পদ্মা নদীর তীরে ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা জরুরি বলে মনে করছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কুণ্ডেরচর, বিলাশপুর, নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর, ভেদরগঞ্জ উপজেলার তারাবুনিয়া ইউনিয়নের ১১টি গ্রাম পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। প্রতিদিনই ভাঙছে নতুন নতুন এলাকা। কুণ্ডেরচরের ভাঙন কবলিত মানুষ ডাকাতের হামলার শিকার হচ্ছেন। আশ্রয়হীন এসব মানুষের নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো তত্পরতা নেই বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভাঙনের শিকার মানুষগুলো আশ্রয়ের সন্ধানে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করছেন। ঘরের আসবাব ও প্রয়োজনীয় জিনিস সরাতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। অনেকে শ্রমিকের অভাবে পাকা ও আধাপাকা ঘর সরাতে পারছেন না। ফেলেই চলে যাচ্ছেন অন্যত্র। দীর্ঘদিনের বসতিবাড়ি ফেলে যাওয়ার সময় অনেক নারী-পুরুষকে অঝোর ধারায় কান্না করতে দেখা গেছে।