শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

তিস্তা-ধরলার ৬৩টি চরে ঈদ শুধুই স্বপ্ন

মিলেনি কোনো সাহায্য সহযোগিতা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

চারদিকে ঈদের আমেজ বিরাজ করলেও ঈদের আনন্দ ফিকে হয়ে আছে লালমনিহাটের তিস্তা-ধরলা বিধৌত ৬৩টি চরের অসহায় মানুষের ভাগ্যে। নদীর মাঝখানে জেগে ওঠা এসব চরবাসির কপালে জোটেনি কোনো সাহায্য-সহযোগিতা। সরকারের পক্ষ থেকে ২০ কেজি করে ভিজিএফ বরাদ্দ দেওয়া হলেও তাদের অধিকাংশই সে চাল পাননি। ঈদ যেন তাদের কাছে শুধুই স্মৃতি।

ঈদের দিন চরগুলোতে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, চতুর্থ দফায় উজানের ঢলে তিস্তা ও ধরলার অনেক চরেই বসতিদের বাড়িতে হাঁটু পানি। তার ওপর ভাঙনের তীব্রতা। ভাঙন আর পানিবন্দীর কারণে ফিকে হয়ে গেছে তাদের ঈদ আনন্দ। ঈদের দিন চরাঞ্চলের এসব মানুষের কেটেছে ভাঙনের হাত থেকে বাড়ি রক্ষা আর বাঁধে বালুর বস্তা ফেলে। অনেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ঠাঁই নিয়েছে স্কুল ও বাঁধের ওপর। তাদের দিন কাটছে অনাহারে, অর্ধাহারে। কোরবানির ঈদ হলেও চরের এসব মানুষের অধিকাংশই পাননি এক টুকরো মাংস। আক্ষেপ করে তারা বলেন, এটাই তাদের জীবন।

নদীর মধ্যবর্তী এলাকায় বাস করেন লাখো মানুষ। দিনমজুর, জেলে ও আর ক্ষেতখামারে কাজ করে খাবার জোটে তাদের।

নদী চরবেষ্টিত কুলাঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী জানান, চরের অভাবী মানুষগুলোর ঈদ নেই বললেই চলে। সরকারিভাবে যে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে তা দিয়ে তাদের ঈদ হতে পারে না। তা ছাড়া ভাঙা-গড়া আর পানিবন্দী হয়ে থাকা ছিন্নমূল এসব মানুষের জীবন প্রকৃত পক্ষেই দুঃখ আর কষ্টে ভরা।

সর্বশেষ খবর