মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিশ্বনাথে ইমামের মৃত্যু নিয়ে রহস্য

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

সিলেটের বিশ্বনাথে ঈদুল আজহার দিন বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে পূর্ব মণ্ডলকাপন গ্রামের আরমান শাহ জামে মসজিদের ইমাম ও বিশ্বনাথ উপজেলা লতিফিয়া কারি সোসাইটির সদস্য হাফেজ আবদুল হান্নানের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এটি অপমৃত্যু নাকি পরিকল্পিত হত্যা—এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় মসজিদের ইমাম থাকা সত্ত্বেও অন্য গ্রাম থেকে তাকে নিয়ে আসা, ফোনালাপের জন্য কমিউনিটি সেন্টারের অরক্ষিত তিন তলায় ওঠা, মৃত্যুর পর পুলিশকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি লাশ ইমামের গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ায় রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। এ ছাড়া ওই কমিউনিটি সেন্টারের তৃতীয় তলায় হাতের নাগাল দিয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক তার অরক্ষিত থাকায় বিদ্যুৎ ও সেন্টার কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সূত্র জানায়, ঈদুল আজহার দিন গত মঙ্গলবার নিজ কর্মস্থল পূর্বমণ্ডল কাপনগ্রামের আরমান শাহ মসজিদে ঈদের জামাতে ইমামতি করেন আবদুল হান্নান। পরে গ্রামের বাড়ি কানাইঘাট যাওয়ার জন্য লোকজনের কাছ থেকে বিদায় নেন। এই সময় পশু কোরবানির লক্ষ্যে পূর্ব মণ্ডলকাপন গ্রামের ছোটন মিয়া ইমামকে নিয়ে বরইগাঁও গ্রামে তার প্রবাসী ভাগনের মালিকানাধীন তমিজ উল্লাহ কমিউনিটি সেন্টারে যান। জনমানবশূন্য সেন্টারে প্রবেশের পর কিছু সময় পরই বিকট শব্দ পাওয়া যায়। শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন সেন্টারের তৃতীয় তলায় উঠে ইমামকে পড়ে থাকতে দেখেন। তাকে সিলেট নর্থইস্ট হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। ছোটন মিয়া জানান, ‘ওই ইমামের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক থাকায় তাকে দিয়ে গরু কোরবানি দিতে সেন্টারে যাই। সেন্টারে প্রবেশের পরই ফোনালাপের জন্য ইমাম সাহেব আমার সম্মুখ থেকে চলে যান।’ অন্য একটি সূত্র জানায়, তিন মাস আগে তমিজউল্লাহ কমিউনিটি সেন্টারের দেখাশুনার দায়িত্ব পান ছোটন মিয়া। এরপর থেকে সেখানে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছিল। পরে এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সেখানে অভিযানও চালিয়েছিল।

সর্বশেষ খবর