বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

যশোর আওয়ামী লীগ সভাপতির হাত থেকে দরপত্র ছিনতাই

তিনি বলেন, বিস্ময়কর

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন গতকাল যশোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে দুটি কাজের দরপত্র জমা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাকে লাঞ্ছিত করেছে। তারা তার পরনের পাঞ্জাবি টেনে ছিঁড়ে ফেলে ও একটি দরপত্র ছিনিয়ে নেয়। দুপুর ২টার দিকে যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে মিলন বলেন, দুর্বৃত্তদের তিনি চেনেন না। এ ব্যাপারে তিনি থানায় মামলা করবেন বলেও জানান। সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম বলেন, দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪৬ কোটি টাকার দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল গতকাল দুপুর ১টা পর্যন্ত। চারটি যৌথ প্রতিষ্ঠানের হয়ে এসব দরপত্র জমা দিতে তিনি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যান। কিন্তু সেখানে কোনো টেন্ডার বাক্স দেখতে না পেয়ে দরপত্র জমা দিতে পারেননি। এ সময় তিনি পুলিশ সুপারের অফিস সহকারীর কক্ষে বসে ছিলেন। হঠাৎ এক যুবক রুমে ঢুকে তার কাছে থাকা একটি দরপত্রের খাম ছিনিয়ে নেয় ও তার গায়ের পাঞ্জাবিটি টেনে ছিঁড়ে ফেলে। মিলন বলেন, তার সঙ্গে থাকা লোকজন ছেলেটিকে ধরে ফেলে। কিন্তু ছেলেটির সঙ্গে থাকা লোকজন পরে ওই ছেলেটিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মিলন বলেন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের মতো একটি জায়গায় এমন ঘটনা বিস্ময়কর। তিনি নতুন করে এসব কাজের দরপত্র আহ্বানের দাবি জানান। এ ব্যাপারে জানতে যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ আবু সরোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সরকারি কাজে জেলার বাইরে আছি, এসব বিষয় আমার জানা নেই।’ যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন বিকাল ৫টায় বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’ মিলন যদি অভিযোগ দেন তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি। উল্লেখ্য, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২৩ কোটি টাকার তিনটি কাজের এবং পিডব্লিউডির ২৩ কোটি টাকার একটি কাজের দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল গতকাল দুপুর ১টা। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান দুটি ছাড়াও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে টেন্ডারবাক্স রাখা হয়। শহিদুল ইসলাম মিলন জানান, জয়েন্টভেঞ্চারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নড়াইলের ওয়াহেদুজ্জামান অ্যান্ড আবুল কালাম আজাদ, গোপালগঞ্জের পিআর প্রকৌশলী, কুমিল্লা ও যশোরের জাকির ও এমএমবির পক্ষে এসব দরপত্র জমা দিতে গিয়েছিলেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর