শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনায় এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পাবনা সদর থানায় গতকাল দুপুরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী সাদিয়া আকতার হালিমা একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস মুন্সি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পাবনা পুলিশ লাইনের কনস্টেবল রুবায়েত ফেরদৌস (কনস্টেবল নম্বর ৭৮৫) ঢাকায় কর্মরত থাকার সময়ে ২০১১ সালের শুরুর দিকে দক্ষিণ কামরাঙ্গীরচর এলাকার হাবিবুল্লাহর মেয়ে সাদিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়। তারপর প্রেমের সম্পর্ক। ওই বছর ৪ এপ্রিল কামরাঙ্গীরচরে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর রুবায়েত বেশ কয়েক জায়গায় চাকরি করলেও স্বামী-স্ত্রী মিলে পাবনায় আসে বছরখানেক আগে। এর মধ্যে তাদের একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী রুবায়েত পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটি হলেই সাদিয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। এরই জের ধরে গত মঙ্গলবার রাতে যৌতুক হিসেবে দুই লাখ টাকা বাবার বাড়ি থেকে আনতে বললে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় সাদিয়াকে মারধর করে মারাত্মক জখম করে। পরে জখম অবস্থায় বাবার বাড়ি ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ হলে সাদিয়া গতকাল দুপুর শরীরে এসে পাবনা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এ বিষয়ে নির্যাতনের শিকার সাদিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমাকে চলে যেতে বলে সে অন্য আরেকজনকে বিয়ে করার হুমকি দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। অভিযুক্ত কনস্টেবল রুবায়েত ফেরদৌস বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এমনটি হয়েছে। আমার সে সময় মাথা ঠিক ছিল না। তবে বিষয়টির জন্য তিনি অনুতপ্ত বলেও জানান। এ ব্যাপারে পাবনার পুলিশ সুপার আলমগীর কবির বলেন, বিষয়টি ন্যক্কারজনক। অবশ্যই বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে দোষীর শাস্তি হবে। ইতিমধ্যে পাবনা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কনস্টেবল রুবায়েত ফেরদৌস রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার ভগবন্তপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে।

সর্বশেষ খবর