ভারি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে রাঙামাটির ১০টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন এসব উপজেলার ১০ হাজারেরও বেশি পরিবার। ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি ঘোলা, ময়লাযুক্ত ও দূষিত হওয়ায় তা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে পানিবাহিত রোগ। জানা যায়, বাঘাইছড়ি, লংগদু, বরকল, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি উপজেলা, কালাপাকুজ্জা, গুলশাখালী, বগাচতর, গাথাছড়া, ভাসান্যাদম, মাইনীমুখ, বালুখালী, আদারক ছড়া ইউনিয়ন এবং সদর এলাকার শান্তিনগর, কাঠালতলী, সমতা ঘাট, ফিশারি ঘাট, রিজার্ভ বাজার, পুরানবস্তী, জালিয়া পাড়া, পৌরকলনো এলাকায় বসবাসরত পরিবারগুলো পানিবন্দী হয়ে মানবতর দিন কাটাচ্ছেন। যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। হ্রদ-তীরবর্তী গ্রামের রাস্তা, গৌ-চারণ ভূমি, মাছ শুকানোর স্থানসহ বাড়িঘর ডুবে গেছে। ওই অঞ্চলের অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় খুঁজে বেড়াচ্ছেন। পৌর কলোনির বাসিন্দা গীতা দাশ বলেন, ‘এ এলাকায় প্রায় ৩০টি পরিবার কয়েকদিন ধরে পানিবন্দী। স্থানীয় কোনো জনপ্রতিনিধি এখন পর্যন্ত আমাদের খবর নেননি।’ রাঙামাটি পৌরমেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী জানান, পৌর এলাকার পানিবন্দী পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। যথাসময় ত্রাণ সামগ্রি দেওয়া হবে। তাছাড়া রিজার্ভ বাজার আব্দুল আলী বিদ্যালয়টি তাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়া হয়েছে।