সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

একই পরিবারের ছয়জন অজ্ঞাত রোগে বিকলাঙ্গ

নির্ণয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে এক হতদরিদ্র পরিবারে ছয় সদস্য পাঁচ বছর ধরে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তারা। অসহায় এই পরিবারের দুর্দশার খবর পেয়ে মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন নিজ উদ্যোগে চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে এনে রোগ নির্ণয়ে চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছেন। মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে বসবাস আনছার আলীর পরিবারের। বছর দশেক আগেও আনছারসহ পরিবারের পুরুষ সদস্যরা ছিল সুস্থ-সবল। নিজস্ব জমিজমা না থাকলেও পরিশ্রম করে উপার্জিত অর্থে স্বাচ্ছন্দ্যেই জীবিকা নির্বাহ করছিলেন তারা। প্রায় ১০ বছর আগে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হন আনছার আলীর ছেলে মনিরুদ্দিন। এর বছর দেড়েক পর একই রোগ দেখা দেয় আরেক ছেলে বাবুল হোসেনের। এর দুই বছর না পেরুতেই এই রোগে আক্রান্ত হন আনছার নিজেই। এর বছর খানেক পর ওই অজ্ঞাত রোগে ধরাশায়ী হন আনছার আলীর ছোট ভাই হেকমত। তার ৬-৭ মাস না যেতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে আনছারের ভাইয়ের মেয়ে নীনা আক্তার। সবশেষ বছর পাঁচেক আগে অজ্ঞাত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে বিকলাঙ্গ হয় ওই পরিবারে হেকমত আলীর শিশুপুত্র জাহিদুল। এভাবে পাঁচ বছরে একে একে ওই পরিবারের কর্মক্ষম সব পুরুষ ও এক মহিলাসহ ছয়জন অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় বিকলাঙ্গ হন। স্থানীয় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন জানান, অজ্ঞাত রোগে অসহায় ওই পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিরা কয়েক বছর ধরে পঙ্গু। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সাধ্যানুযায়ী পরিবারটিকে সহযোগিতা করছি। কিন্তু এই সহায়তা তাদের প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। পরিবারটির সহায়তায় সরকার ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান দেলোয়ার।

মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন মো. ইমরান আলী জানান, অজ্ঞাত রোগে হতদরিদ্র পরিবারে ছয়জন বিনা চিকিৎসায় বিকলাঙ্গ হয়েছে শুনে সরকারিভাবে চিকিৎসার জন্য শনিবার তাদের মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর