শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

মোটরসাইকেল চুরি হয়, উদ্ধার হয় না

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জ শহরে গত এক থেকে দেড় বছরে অন্তত ৫০টি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। চুরি যাওয়ার তালিকায় রয়েছে সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, বিক্রয় প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষের মোটরসাইকেল। চুরি যাওয়া এসব মোটরসাইকেলের একটিও উদ্ধার হয়নি। সূত্র মতে, অনেক সময় চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল প্রভাবশালীদের ছত্রছায় থাকা ক্যাডারদের হাতে চলে যায়। প্রকাশ্যে সেগুলো ব্যবহারও করেন তারা। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ব্যবসায়ী জানান, তার চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি চোখের সামনে শহরে চলতে দেখেছেন। যার হাতে সেটি তিনি প্রভাবশালীদের কাছের মানুষ হওয়ায় ভয়ে আর মুখ খুলেননি।  সূত্র আরও জানায়, চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলের বড় একটা অংশ ছাতক হয়ে জেলার বাইরে চলে যায়। যেগুলো পাচার করা সম্ভব হয় না সেগুলোর যন্ত্রাংশ খুলে বস্তাবন্দী করে পাচার করা হয় নৌ ও সড়ক পথে। জানা গেছে, বছরখানেক আগে শহরের বনানীপাড়ায় শামসুজ্জামানের বাসার গেট ভেঙে দুই দফায় তিনটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। চুরি হয় দৈনিক জনকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি এমরানুল হক চৌধুরীর মোটরসাইকেল। সর্বশেষ গত ১০ অক্টোবর শহরের প্রাইম ব্যাংকের সদর দরজা থেকে চুরি হয় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেরেনূর আলীর মোটরসাইকেল। সুনামগঞ্জের সিনিয়ির সহকারী পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ বলেন, চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধারে তত্পর আছি। সম্প্রতি চুরির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর