শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা
গোবিন্দপুর ইউপি নির্বাচন

জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডের পুনর্নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। পোস্টার আর লিফলেটে ছেয়ে গেছে পুরো নির্বাচনী এলাকা। ৩১ নভেম্বর ওই ওয়ার্ডে পুনর্নির্বাচন। ২৮ মে ইউপি নির্বাচনে কারচুপি, ব্যালট পেপার ছিনতাই এবং ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ১০ জন আহত হন। হামলার ঘটনায় ১৩ জনের নামসহ দুই শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার বাদী হয়ে মেঘনা থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশি হয়রানির কারণে সাধারণ মানুষ এখনো বাড়ি ফিরতে পারছে না। এরই মধ্যে ওই ওয়ার্ডের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এবারও হামলা-সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, নির্বাচন কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দুবারের ইউপি চেয়ারম্যান মাইনুদ্দিন তপন। বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ প্রার্থী উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল বাকী শামীম। দুজনই চেয়ারম্যান পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। করিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ৮৩৬। সাধারণ সদস্য প্রার্থীরা হলেন বর্তমান মেম্বার জালাল উদ্দিন, মোজাম্মেল হক, শাহজাহান, আক্তারুজ্জামান। এ ছাড়া সংরক্ষিত মহিলা আসনে চার প্রার্থী হলেন হোসনেয়ারা বেগম, হাসিনা আক্তার, রাহেলা বেগম, লাভলী আক্তার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা আক্তার সুমি বলেন, একটি মাত্র কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। এ কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি, র‌্যাব মোতায়ন থাকবে। মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামছুদ্দিন বলেন, পুনরায় যাতে হামলা-সংঘর্ষ না ঘটে সেজন্য পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন থাকবে।

সর্বশেষ খবর