রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাগেরহাটে ডিলারশিপ বাতিল ময়মনসিংহে ধনীরা তালিকায়

১০ টাকার চালে অনিয়ম

বাগেরহাট ও ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার লকপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দের ১০ টাকার চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কার্ডবঞ্চিত বেশকিছু নারী-পুরুষ গতকাল ওই ওয়ার্ডের সদস্য আলী আহম্মেদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন। তাদের অভিযোগ, প্রকৃত দরিদ্রদের বাদ দিয়ে স্বাবলম্বী এবং বিত্তশালীদের নামে মেম্বর তালিকা তৈরিতে সহয়তা করে কার্ড দিয়েছেন। তারা ওইসব কার্ড বাতিল করে হতদরিদ্রদের নামে বরাদ্দের দাবি জানান। এদিকে চাল বিতরণের সময় ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগে মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়িখালী ইউনিয়নে আসাদ বক্স নামে একজনের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে। ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও যাচাইবাছাই কমিটির সভাপতি মাহাবুবুর রহমান জানান, তাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন। ফকিরহাট খাদ্য কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন জানান, কার্ড না পেয়ে কিছু নারী-পুরুষ বিক্ষোভ করেছেন এ বিষয় অবহিত হয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। অভিযুক্ত মেম্বর আলী আহম্মেদ বলেন, ‘ওই তালিকা প্রণয়নে আমার কোনো হাত ছিল না। ২৪৮ জনের নামে বরাদ্দ কার্ড বিতরণের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে।’ তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি। লখপুর ইউপির চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তালিকা প্রণয়নের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হলে সংশোধন করা হবে। এদিকে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রিতে উপজেলা খাদ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজসে মাঠপর্যায়ে ডিলাররা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। হতদরিদ্রদের তালিকায় রয়েছেন স্বামী-স্ত্রী, একই পরিবারের চার-পাঁচজন, রাজনৈতিক নেতা ও সম্পদশালী ব্যক্তি। শুক্র ও গতকাল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ডিলারদের অধিকাংশই দোকানই বন্ধ ছিল। তদারকি কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি বলে জানান হতদরিদ্ররা। খাদ্যবান্ধব এ কর্মসূচিতে একই পরিবার দলীয় নেতা-কর্মী ও সম্পদশালীদের কার্ড দেওয়ার অভিযোগ করেছেন দুস্থ অনেকে। বেশি অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলার তারুন্দিয়া ও মাইজবাগ ইউনিয়নে। তারুন্দিয়ার চেয়ারম্যান আবদুল হালিম ও মাইজবাগ ইউপির আনোয়ার পারভেজ বলেন, তালিকা প্রস্তুতের সময় একই পরিবার থেকে একাধিক নাম অসতর্কতাবশত এসে গেছে। তালিকাগুলো সংশোধন করে সামনের মাস থেকে চাল বিতরণ করা হবে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ আলাউদ্দিন অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, পর্যায়ক্রমে তালিকা সংশোধন করা হচ্ছে। ছুটির দিন থাকায় কিছু জায়গায় তদারকি কর্মকর্তা অনুপস্থিত আছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব কুমার বলেন, তদারকি কর্মকর্তার অনুপস্থিতি মেনে নেওয়া যায় না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর