রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

দেড় মাস বন্ধ আলট্রাসনোগ্রাম নেই চোখের ডাক্তার

চাঁদপুর সরকারি হাসপাতাল

চাঁদপুর প্রতিনিধি

লোকবল সংকটে প্রায় দেড় মাস ধরে বন্ধ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আলট্রাসনোগ্রাম বিভাগ। এতে আট উপজেলাসহ জেলার বাইরে থেকে আসা রোগীরা শিকার হচ্ছেন নানা প্রকার হয়রানির। সরকারি হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাম করাতে না পেরে বাধ্য হয়ে অধিক খরচে বিভিন্ন বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ পরীক্ষাটি করাচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। এছাড়া হাসপাতালটিতে নেই চোখের কোনো ডাক্তার।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আলট্রাসনোগ্রাম বিভাগটিতে রেডিওলজিস্ট ও কনসালটেন্ট পদে দুজন চিকিৎসক কর্মরত ছিলেন। রেডিওলজিস্ট ডা. সফিকুল ইসলাম গত ৫ মে হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তারপর থেকে আলট্রাসনোগ্রাম বিভাগটির কার্যক্রম পরিচালনা করেন কনসালটেন্ট ডা. মাইনুদ্দিন। তিনিও গত ৫ সেপ্টেম্বর পদোন্নতি লাভ করে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করলে বিভাগটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে হাসপাতালে এসে প্রতিনিয়ত প্রয়োজনীয় এ সেবাটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।

শুধু আলট্রাসনোগ্রাম বিভাগই নয়, চিকিৎসক সংকটের কারণে হাসপাতালের আরও কিছু বিভাগে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। প্রায় এক বছর ধরে নেই চক্ষু চিকিৎসক। সব মিলিয়ে বর্তমানে চিকিৎসকের প্রায় ২৫টি পদ শূন্য। হাসপাতালের প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক সফিউল আলম জানান, চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ৬৫টি পদের মধ্যে মাত্র ৪০ জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। ফলে চিকিৎসাসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. প্রদীপ কুমার দত্ত জানান, রেডিওলজিস্ট, কনসালন্টেট ও চক্ষু চিকিৎসকের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানান হয়েছে। আশা করছি, কিছুদিনের মধ্যে সব শূন্য পদে লোক নিয়োগ করা হবে।

সর্বশেষ খবর