রাজশাহীর পবা উপজেলার বায়ায় অবস্থিত সরকারি সেফ হোমে একজনের মৃত্যুর পর আরও ছয় নারী-শিশুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেন— রাশিদা, আম্বিয়া, অজিফা, পারভিন, কুলসুম ও তানিয়া (৬)। এ নিয়ে অসুস্থ হয়ে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলো ২৬ জনকে।
জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুব আলম জানান, গতকাল বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে ছয়জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর আগে শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার দুই দফায় ২০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিনতি রানী নামে এক নারী। তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। কয়েক দিনের ঘটনার খবর শুনে গতকাল সকালে সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালক জুলফিকার হায়দার সেফ হোমটি পরিদর্শন করেছেন। এ সময় একের পর এক হেফাজতি অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঘটনায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং দায়িত্বরত সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। অসুস্থ হওয়ার কারণ উদঘাটনে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দীন গতকাল তিন সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করে দিয়েছেন।
সেফ হোমের পরিচালক আবু তাহের দাবি করেন, এখানে যারা আছেন, প্রায় সবাই মানসিক প্রতিবন্ধী। এ কারণে নোংরা পানি পান করায় এদের মধ্যে একজন প্রথমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। সেটি ছড়িয়ে পড়ছে অন্যদের মাঝে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেফ হোমের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে হেফাজতিদের খাবার সরবরাহ, চিকিৎসা প্রদান ও পথ্য সরবরাহে নানা অনিয়ম করছেন। তাদের রাখা হয় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। সরবরাহকৃত খাবারও অত্যন্ত নিম্নমানের। এ জন্য অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারা।
