ঢাকার ধামরাইয়ে গভীর নলকূপ দেওয়ার কথা বলে জনসাধারণের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন ঠিকাদার। ঘটনা জানার পর টাকা ফেরত নিতে প্রতিদিন ধামরাইয়ের বিভিন্ন গ্রামের হতদরিদ্ররা জনস্বাস্থ্য অফিসে এসে ভিড় করছেন।
জানা গেছে, ধামরাইয়ে জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন ২০১০ সালে যোগদানের পর গভীর নলকূপ স্থাপন করতে কয়েকজন ঠিকাদার নিয়োগ করেন। তারা গ্রামে গ্রামে অল্প টাকায় নলকূপ দেওয়া হবে বলে প্রচার চালান। এতে ধামরাইয়ের বিভিন্ন গ্রামে হতদরিদ্ররা সুদ ও ধারদেনা করে একটি নলকূপের আশায় টাকা দিতে থাকেন। প্রতিদিন ধামরাই জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তার কক্ষে তার উপস্থিতিতে ঠিকাদার জয়দেব পালকে টাকা দেন তারা। নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলে এলাকাবাসী জয়দেব পাল ও কর্মকর্তার কাছে নলকূপের জন্য তাগাদা চান। অবস্থা বেগতিক দেখে টাকা নিয়ে জয়দেব পাল পালিয়ে যান। ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের লাড়ুয়াকুণ্ড গ্রামের তারা বানু, রাজু মিয়া, মামুন, তাজউদ্দিন, সানু মিয়া, জুলহাস, মনির হোসেনসহ ৮ কৃষক পরিবার জানান, নাছির স্যার ডিপটিউবয়েল দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই অফিসের এক কর্মচারী জানান, জয়দেব পাল প্রায় তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভারত চলে গেছেন। উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. নাছির উদ্দিন জানান, জয়দেব পাল আমার অফিসে বসেই টাকাগুলো নিয়েছেন। কিন্তু আমি তো নেইনি। সে টাকা নিয়ে পালিয়ে ভারতের বারাসাত থানার দত্তপুকুর গ্রামে বসবাস করছেন। তার বাবা নাম দুলাল চন্দ্র পাল। পরে তিনি সাংবাদিকদের সংবাদটি না লেখার জন্য অনুরোধ করেন।