বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ওয়াকওয়ে দখল করে পাথর-বালু ব্যবসা

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি

ওয়াকওয়ে দখল করে পাথর-বালু ব্যবসা

শীতলক্ষ্যা তীরের ওয়াকওয়ে দখল করে পাথর ও বালু ব্যবসা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

সেই আগের চিত্র শীতলক্ষ্যা নদীর কাঁচপুর এলাকায়। কাঁচপুর ব্রিজের দুই পাশ দখল করে বছরের পর বছর চলছিল বালু ও পাথর ব্যবসা। এখন চলছে কয়েক কোটি টাকায় তৈরি ওয়াকওয়ে দখল করে। নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালকের কাছ থেকে মাসিক ইজারার ভিত্তিতে চলছে এ ব্যবসা। এতে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে শীতলক্ষ্যা নদী দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে ওয়াকয়ে নির্মাণ করেও লাভ হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম-পরিচালক কেএম আরিফউদ্দিনকে মাসপ্রতি মোটা অংকের উেকাচ দিয়ে বালু ও পাথর ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার স্বার্থে ওয়াকওয়ের অনেক কাঠামো ভেঙে ফেলেছেন। ওয়াকওয়ের দেয়াল ভেঙে জেটি ও কাঠের সিঁড়ি নির্মাণ করে নদী থেকে মাল লোড-আনলোড করছেন তারা। বিআইডব্লিউর নিজস্ব জায়গায় লাগানো গাছ তুলে সেখানে রাখা হচ্ছে বালু-পাথর। এতে আগের মতোই নষ্ট হচ্ছে শীতলক্ষ্যা নদীর পরিবেশ। বালু ও পাথরের নুড়ি পড়ে ভরাট হচ্ছে নদীর তলদেশ। নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক কেএম আরিফউদ্দিন ওয়াকয়ে ব্যবহার করে বালু-পাথর ব্যবসার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, দেশবরেণ্য অনেক সাংবাদিক আমার বন্ধু। এ সময় বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করারও অনুরোধ জানান তিনি। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের জুনে উচ্চ আদালত শীতলক্ষ্যাসহ রাজধানীর পার্শ্ববর্তী চারটি নদী রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএকে নির্দেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় গত কয়েক বছরে শীতলক্ষ্যার তীর রক্ষায় নারায়ণগঞ্জ অংশে ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে সাত কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ ওয়াকওয়ের কাঁচপুর ব্রিজ এলাকায় বালু ও পাথর ব্যবসার জন্য মৌখিক ও কমিশনভিত্তিক অনুমতি দেওয়ায় ওয়াকওয়ে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সর্বশেষ খবর