‘দয়ার মাতা মারিয়া’ এই মূল সুরকে সামনে রেখে আজ ও কাল শেরপুরের নালিতাবাড়ীর বারমারী সাধু লিওর খ্রিস্টান ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হবে তীর্থোৎসব। এ উৎসব ঘিরে বৃহত্তর ময়মনসিংহের খ্রিস্টান অধ্যুষিত অঞ্চলে খ্রিস্টভক্তের মধ্যে বইছে খুশির আমেজ। উৎসব সফল করতে চলছে নানা প্রস্তুতি ও বৈঠক। ঢাকা খ্রিস্টধর্ম প্রদেশের অবসরপ্রাপ্ত বিশপ থিওটোনিয়াস গমেজ আজ বিকালে তীর্থোৎসবের উদ্বোধন করবেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহাখ্রিস্টযাগ, গীতি আলেখ্য, আলোক শোভাযাত্রা, নিশীজাগরণ, নিরাময় অনুষ্ঠান, পাপ স্বীকার, জীবন্ত ক্রুশের পথসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তীর্থ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক রেভারেন্ট ফাদার মনিন্দ্র এম. চিরান জানান, এ বছর অর্ধলক্ষাধিক দেশি-বিদেশি ভক্ত তীর্থযাত্রায় অংশ নেবেন। নিরাপত্তা প্রদানে র্যাবের পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি ও স্বেচ্ছাসেবকদল সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে।
জানা যায়, ১৯৯৮ সালে পর্তুগালে নির্মিত ফাতেমা নগরীর আদলে পাহাড় বৈষ্টিত মনোরম পরিবেশের এ তীর্থ স্থানটি নির্বাচন করা হয়। ময়মনসিংহ ধর্ম প্রদেশের তৎকালীন বিশপ ফ্রান্সিস এ. গমেজ বারমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে ফাতেমা রাণীর তীর্থ স্থান হিসেবে ঘোষণা করেন। এ তীর্থ স্থানের প্রায় দুই কিলোমিটার পাহাড়ি টিলায় ক্রুশের পথ ও পাহাড়ের গুহায় স্থাপন করা হয়েছে মা-মারিয়ার পবিত্র মূর্তি। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার বার্ষিক তীর্থোৎসব পালিত হয়।