শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

টাকার অভাবে অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রায় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের অবকাঠামো নির্মাণ। কবে কাজ শুরু হবে তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। দরপত্র অনুযায়ী গত জুন মাসে এ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। চিকিৎসক ডরমেটরি ও আবাসিক হল নির্মাণকাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী শামীম হোসেন জানান, টাকা না থাকায় আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় ব্যাহত হয় ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখা। কোনো অবকাঠামো ছাড়াই ২০১১ সালে ৫০ শিক্ষার্থী নিয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয়। সেসময় কুষ্টিয়া মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ভবনে অস্থায়ী অফিস ও তিনটি কক্ষ নেওয়া হয় পাঠদানের জন্য। শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল হিসেবে দেওয়া হয় গণপূর্তের তিনটি ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ভিতরে দুটি ভবন। এখন এই মেডিকেল কলেজে পাঁচ শিক্ষাবর্ষে ছাত্রছাত্রী ২৫০ জন। এ বছর আরও ৫০ জন ভর্তি হবে। স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে শহরের লাহেনীপাড়ায় ২০ একর জায়গার ওপর কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে একাডেমিক ভবন, ১৫ কোটি টাকায় দুটি হোস্টেল ও পৌনে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে চিকিৎসকের জন্য আবাসিক দুটি ডরমেটরি ভবনের কাজ শুরু হয়। ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে এসব ভবন হস্তান্তরের কথা ছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণপূর্তের এক কর্মকর্তা জানান, ভবনের কাজ শেষ হলেও সীমানা প্রাচীর, পুরো এলাকা ২০ ফুট উচ্চতায় বালু ভরাট (সমতল করতে) ও অভ্যন্তরীণ সড়কের নির্মাণের দরপত্র এখনো আহ্বান করা হয়নি। এতে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয় হবে। এ কাজ না হলে কলেজ কর্তৃপক্ষ ভবনে উঠতে চাচ্ছে না। এই কর্মকর্তা আরও জানান, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় কাজ শেষ করতে সময় লাগছে। প্রতিটি কাজের গড়ে ২৫ ভাগ বাড়তি টাকা ব্যয় ধরে নতুন করে আরডিপিপি পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক ডা. আশরাফুল হক দারা বলেন, ‘আরডিপিপিতে মহাপরিচালক সই করেছেন। এখন মন্ত্রণালয়ে যাবে। তারপর মন্ত্রণালয়ের প্লানিং বোর্ডে পাস হবে। এতে একটু সময় লাগতে পারে।’

সর্বশেষ খবর