মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

থমথমে তাড়াশ, বিভক্ত আ. লীগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

থমথমে তাড়াশ, বিভক্ত আ. লীগ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের মধ্যে বাকবিতণ্ডার পর রবিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে হামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হককে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। আহত উপজেলা চেয়ারম্যানকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সংসদ সদস্য ম. ম. আমজাদ হোসেন মিলন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হকের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এ নিয়ে অঘোষিতভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগ দুভাগে বিভক্ত।

সম্প্রতি উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হকের সমর্থক সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল সেখ ও বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় জিডি হয়। রবিবার দুপুরে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় ওই দুই চেয়ারম্যান জিডির জন্য এমপি এবং ওসিকে জড়িয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। এ নিয়ে হট্টগোল শুরু হলে মিটিং স্থগিত করা হয়। মিটিং ত্যাগ করে সংসদ সদস্য নিজ বাসায় চলে যাওয়ার সময় ওই দুই চেয়ারম্যান তাকে কটূক্তি ও লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেন। এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হক ওই দুই চেয়ারম্যানসহ আরও ছয়টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নিয়ে নিজ কার্যালয়ে আলাদা বৈঠকে বসেন। সেখানে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আবদুল হককে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনার পরপরই বাবুল চেয়ারম্যান, মোক্তার চেয়ারম্যান, তোরাব আলী, জালাল উদ্দিন, আইবুল, মোন্নাফসহ আরও কয়েকজন এমপির সহকারী আরিফের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত করা হয়েছে বলে এমপির ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল সেখ ও মোক্তার হোসেন  জানান, ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন বিদ্যুতের নেতৃত্বে উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর হামলা চালানো হয়। তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সনজিত কুমার জানান, সকালে জরুরি মিটিং করে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে। তাড়াশ থানার ওসি এ টি এম আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থেকে উপজেলা সদরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংসদ সদস্য গাজী ম. ম. আমজাদ হোসেন মিলন জানান, ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল ও মোক্তার হোসেন মাসিক সমন্বয় সভায় ওসিসহ তাকে জড়িয়ে অকথ্য ভাষায় বক্তব্য রাখেন। এ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে তিনি মিটিং ত্যাগ করে বাসায় চলে আসেন। এরপর তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ-মিছিলও করেছে। তবে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কে বা কারা মারপিট করেছে তা তার জানা নেই এবং ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর