বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

এমপিসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা, ১৪৪ ধারা জারি

আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত তাড়াশ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

তাড়াশ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হকের উপর হামলার ঘটনায় গাজী ম.ম আমজাদ হোসেন মিলন এমপি, তার দুই ছেলে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন বিদ্যুৎ ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবেক লীগ সভাপতি আবদুল খালেক পিয়াসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে তাড়াশ সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল সেখের দেওয়া অভিযোগ গতকাল মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। মামলার এক আসামি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আবদুল খালেক পিয়াসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি মিছিল-সমাবেশ করছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। এ অবস্থায় একই স্থানে দুই গ্রুপ সমাবেশ ডাকায় জেলা প্রশাসন গতকাল বেলা ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তাড়াশ ও মহিষলুটি বাজারে ১৪৪ জারি করেছে। টহলের পাশাপাশি মোড়ে মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত র‌্যাব-পুলিশ। সন্ত্রাসী হামলার জন্য স্থানীয় এমপিকে দায়ী করায় তার লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সলঙ্গা বাজারে বিক্ষোভ মিছিলও করেছেন এমপির সমর্থকরা। অন্যদিকে, মামলার বাদী সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল শেখ ঘটনার জন্য এমপিকে দায়ী করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। বিষয়টি সুরাহার জন্য আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংসদ সদস্য ম.ম আমজাদ হোসেন মিলনকে তলব করেছেন। সিরজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর আলম জানান, থানায় অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। এখনো নথিভুক্ত হয়নি, প্রক্রিয়াধীন আছে। হামলায় জড়িত অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিল্লুুর রহমান জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাতে দুটি স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে সংসদ সদস্য ম.ম. আমজাদ হোসেন মিলনের সঙ্গে রাজনৈতিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এ অবস্থায় রবিবার দুপুরে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হকের সমর্থক সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল সেখ ও বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন এমপি এবং ওসিকে জড়িয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় হট্টগোল শুরু হলে সভা স্থগিত করা হয়। সংসদ সদস্য মিটিং ত্যাগ করে বাসায় যাওয়ার সময় ওই দুই চেয়ারম্যান তাকে কটূক্তি ও লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেন। এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক নিজ কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠক চলাকালে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম করে। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।

সর্বশেষ খবর