গোদাগাড়ীতে একা পেয়ে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন তারই শিক্ষক। পরে গ্রামবাসী ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষকের নাম শহিদুল ইসলাম (৩৮)। তিনি উপজেলার দিগরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং জাহানাবাদ গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে। ভুক্তভোগীও (১৫) একই স্কুলের ছাত্রী। শহিদুল ইসলাম গত বুধবার রাতে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে। গোদাগাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক আবদুল লতিফ জানান, ওই রাতে ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা পাশের গ্রামে জলসা শুনতে যান। বাড়িতে ছাত্রী একাই ছিল। রাত ৯টার দিকে শহিদুল ইসলাম প্রাচীর টপকে বাড়িতে প্রবেশ করেন এবং ছাত্রীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ওই ছাত্রী কৌশলে শিক্ষককে ঘরের ভিতর আটকে রাখে। পরে তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে এলে এলাকাবাসীর সহায়তায় তাকে আটক করা হয়। গ্রামের লোকজন ধর্ষককে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গতকাল সকালে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি জানান, ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সকালেই শিক্ষক শহিদুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিত ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।