বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরে সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার এমপির

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

‘ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার আহম্মেদকে মারধরের সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। একটি মহল আমাকে হেয় করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করছে।’ ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই এ কথা বলেন। এমপি বলেন, যারা মেরেছে এবং যারা মার খেয়েছেন তারা সবাই আমার লোক। মোক্তার আহম্মেদকে মারধরকারীদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হামলার ভিডিও ফুটেজ আছে। জড়িতদের ছবি প্রকাশ পেয়েছে। একটি মহল ঘটনা ভিন্নখাতে নিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করছে। আবদুল হাই আরও বলেন, তার সাবেক এপিএস জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাকিম আহম্মেদকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে আমার ওপর দোষ চাপানোর জন্য। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, সহ-সভাপতি এ্যাড. অজিজুর রহমান, আব্দুল ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দার প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার আহমেদের ওপর হামলা চালায় যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা। তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয় ও জখম করে। ছেলে গোলাম মুরশিদ বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়। এ ব্যাপারে ১৯ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাকিম আহম্মেদ, শৈলকুপা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমেদ, সম্পাদক শামিম জোয়ার্দ্দারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করলেও তারা জামিনে আছেন।

সর্বশেষ খবর