বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বোরিংয়ের টাকা ভাগাভাগি পাইপ দোকানে বিক্রি

আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েল প্রকল্প

সাভার প্রতিনিধি

ঢাকার সাভারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ‘আর্সেনিকমুক্ত তারা টিউবওয়েল প্রকল্পে’ অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ মানুষের নামে বরাদ্দের টিউবওয়েল স্থাপন না করে সংশ্লিষ্ট অফিসের কিছু লোক বোরিংয়ের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আর পাইপ বিক্রি করে দিচ্ছেন স্যানেটারি দোকানে। এতে এলাকাবাসী যেমন বিশুদ্ধ পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তেমনি সরকার গৃহীত প্রকল্পের সুফলও মিলছে না। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী অলি উল্লাহ জানান, তদন্ত করে যেই এ ঘটনায় জড়িত থাকুক তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা যায়, গত অক্টোবর মাসে সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মিনি আক্তার উর্মি ৫৫ জনের একটি তালিকা সাভার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে পাঠান। এরপর অফিসের মেকানিক মফিজুর রহমান ওই ৫৫ জনকে মুঠোফোনে অফিসে ডেকে প্রত্যেককে সোনালী ব্যাংক সাভার থানা রোড শাখায় আড়াই হাজার টাকা জমা দিতে হবে বলে জানান। পরে টাকা তিনি জমা দেবেন বলে নিয়ে নেন। বিপরীতে কোনো রসিদ কাউকে দেননি। আদৌ এ টাকা ব্যাংকে ওই প্রকল্পের জন্য রাজস্ব খাতে জমা হয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সরকারি লোক দিয়ে বোরিং করানোর কথা থাকলেও মফিজ তারা টিউবওয়েলের মান ভাল না, কয়েকদিন পর নষ্ট হয়ে যাবে এমন কথা বলে লোকজনকে ‘সাব মারসেবল’ বসানোর পরামর্শ দেন। সরকারিভাবে দেওয়া নলকূপ ও পাইপ তার পরিচিত স্যানেটারি দোকানে বিক্রি করে ভাল পাইপ নিতে বলেন। এজন্য তিনি অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা বোরিং চার্জ দাবি করেন। যাদের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার সুযোগ হয়নি তাদের যে টিউবওয়েল ও পাইপ দিয়েছেন তা নিম্নমানের। সাভার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মশিউর বলেন, অনিয়মের বিষয়টি তার জানা নেই। তদন্ত করে দেখবেন।

সর্বশেষ খবর