রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

অধ্যক্ষের কক্ষে ছাত্রের বিষপান

নরসিংদী প্রতিনিধি

মনোহরদীতে সনদপত্র না দেওয়ায় অধ্যক্ষের কার্যালয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন শহিদুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। মনোহরদী উপজেলা হরি নারায়ণপুর ফাজিল মাদ্রাসায় গতকাল এ ঘটনা ঘটে। সনদ প্রদানকে কেন্দ্র করে ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন। পুলিশ তাকে ধরতে মাঠে নেমেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে মাদ্রাসা বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি। জানা যায়, ২০১৬ সালে হরিনারায়ণপুর ফাজিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করে মনোহরদী ডিগ্রি কলেজে অনার্স ভর্তির জন্য আবেদন করে সিলেক্ট হন শহিদুল। নিয়ম অনুযায়ী অনার্স ভর্তির জন্য আলিম পাসের সনদপত্র জমা দিতে হয়। এক মাস ধরে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মহিউদ্দিনের কাছে সনদ উত্তোলনের জন্য ধরনা দেন। গত সপ্তাহে এ জন্য শহিদুলের কাছে তিন হাজার টাকা  দাবি করেন মহিউদ্দিন। দরিদ্র এই ছাত্র তিন হাজার টাকা যোগাড় করতে না পেরে ৫০০ টাকা অধ্যক্ষকে দেন। এতে তিনি সনদপত্র দিতে রাজি হননি। গতকাল ছিল মনোহরদী কলেজে অনার্স ভর্তির শেষ দিন। এ দিন পুনরায় সনদপত্রের জন্য গেলে তিন হাজার টাকা না দিলে দেওয়া হবে না জানিয়ে দেন অধ্যক্ষ। সনদপত্র না দিলে বিষ খাবেন বলে জানান শহিদুল। এতে কাজ না হওয়ায় অধ্যক্ষের সামনে বিষ খান। পরে শিক্ষকরা তাকে মনোহরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে। স্থানীয় ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বলেন, অধ্যক্ষ নিয়মবর্হিভূতভাবে সনদপত্র আটকিয়ে রেখেছেন। আমিও তাকে অনুরোধ করেছি, তিনি শোনেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, অধ্যক্ষ টাকা ছাড়া শুধু শিক্ষার্থী নয়, কোনো শিক্ষকের কাজও করেন না। তার সামনে ছেলেটা বিষ খেলেও একবার বাধা দেননি।

সর্বশেষ খবর