সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

‘নাডার’ প্রভাবে তিন হাজার গবাদিপশুর মৃত্যু

তিন কোটি টাকার ক্ষতি

নোয়াখালী প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় ‘নাডার’ প্রভাবে অতিরিক্ত জোয়ারের পানি, টানা বৃষ্টি ও ঠাণ্ডায় উপকূলীয় জাহাজ্জার চরসহ নোয়াখালীর তিনটি উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলে তিন হাজারের বেশি গরু, মহিষ ও ভেড়ার মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় লোকজন। অসুস্থ হয়ে পড়েছে আরও কয়েকশ পশু। মারা যাওয়া পশুর মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা বলে জানা গেছে। তবে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, মারা যাওয়া পশুর সংখ্যা এক হাজার ২০৮টি। গত ৭ নভেম্বর ‘নাডা’র প্রভাবে উপকূলে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। ওই দিন ও এরপর ধারাবাহিকভাবে গরু, মহিষ ও ভেড়াগুলো মারা যায়। ঢাকা থেকে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে গতকাল একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। তারা আক্রান্ত পশুর চিকিৎসা দেন এবং মালিকদের মধ্যে ভেকসিনসহ বিভিন্ন জরুরি ওষুধ বিতরণ করেন। এ সময় প্রাণি সম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক এএইচএম মনোয়ার হোসেন ও জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পশু মালিকদের দাবি— সরকারিভাবে সময়মতো ওষুধ, চিকিৎসক না পাওয়া এবং জাহাজ্জার চরে উচু স্থান ও গভীর নলকূপ না থাকায় পশুগুলো মারা যায়। মরা পচা গরু, মহিষ ও ভেড়ার কারণে সুস্থ পশু ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। জরুরি ভিত্তিতে মারা যাওয়া প্রাণি সৎকার করা না হলে বাঁচানো যাবে না এখানকার হাজার হাজার গরু-মহিষ। পরিবেশ বিপর্যয়েরও আশঙ্কা করছেন চরবাসী। জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ঘটনার পর থেকে চারটি মেডিকেল টিম আক্রান্ত এলাকায় চিকিৎসা দিয়ে আসছে। উল্লেখ্য, নোয়াখালীর হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর। চরগুলো মানুষ বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় এবং বিস্তীর্ণ তৃণভূমি থাকায় লালন-পালন হয় প্রচুর গরু, মহিষ ও ভেড়া। বেশি পশু আছে জাহাজ্জার চর, চর নুর ইসলাম ও ঠেঙ্গার চরে।

সর্বশেষ খবর