বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

কী অপেক্ষা করছে শিশু শিপনের সামনে

মেহেরপুর প্রতিনিধি

কী অপেক্ষা করছে শিশু শিপনের সামনে

ঝুপড়ি ঘরের সামনে বৃদ্ধা নানীর সঙ্গে শিপন

দেনার দায়ে ১০ বছরের শিপনকে হারাতে হয়েছে মাকে। জন্মের পর থেকে লাপাত্তা বাবা। মা-বাবা ছাড়া অর্থাভাবে শিপনের পড়ালেখা বন্ধ হতে চলেছে। এবার গাংনী গাড়াডোব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা শিপনের। এ অবস্থায় তার জীবনধারণ ও ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহপাঠিরা। গ্রামবাসী ও শিপনের বাড়ি সূত্রে জানা যায়, শিপন থাকত তার শ্রমজীবী মা সরলা খাতুন আর বৃদ্ধা নানী  নাজিরুনের সঙ্গে। জন্মের পরই বাবা আর একটা বিয়ে করে তাদের ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। মা ইটভাটা ও কৃষিকাজ করে সংসার চালাচ্ছিলেন। গত বছর শিপনের বোন পিংকির বিয়ের সময় বেশকিছু ধারদেনা করতে হয়। পাওনাদাররা সবসময় টাকা আদায়ের তাড়া দিত। দেনা পরিশোধ ও সুন্দর জীবনের আশায় শিপনের মা সিদ্ধান্ত নেন সৌদি আরবে কাজে যাওয়ার। এজন্য এক আদম বেপারির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই আদম বেপারি শিপনের মাকে ঢাকায় পঠান ট্রেনিংয়ের কথা বলে। এরপর থেকে মা ও সেই আদম বেপারি শিপন ও তার নানির কোনো খোঁজখবর রাখেনি। শিপনের নানী জানান, খেয়ে না খেয়ে নাতিকে নিয়ে দিন পার করছি। নাতনী পিংকির স্বামী যেদিন বাজার করে দেন সেদিন খাবার জোটে। গাড়াডোব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, শিপন খুবই মেধাবী। তার সমাপনী পরীক্ষার কয়দিনের যাতায়াত, খাওয়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ বিদ্যালয় থেকে বহন করা হবে। এরপর তার কি হবে জানি না। ছেলেটা শেষপর্যন্ত কিভাবে বেড়ে উঠবে কে জানে?

সর্বশেষ খবর