নরসিংদীতে দুদকের গণশুনানিতে কমিশনারের সামনে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসের দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ। বুধবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে সরকারের ১১টি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জনসাধারণের সামনে হাজির হলে বিভিন্ন অভিযোগ উপস্থাপিত হয়। জবাবে দুদুকের কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. নাসির উদ্দিন দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা প্রশাসন এই গণশুনানির আয়োজন করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জসিম উদ্দিন হায়দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার, মনিরুজ্জামান, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সূর্যকান্ত দাস, সম্পাদক বশিরুল ইসলামসহ জেলা কমিটি ও কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন, নরসিংদী পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন কমিশনার, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার সাহা, নুরালাপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আবু ছালেহ চৌধুরী প্রমুখ। পৌর মেয়র কামরুল জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। মেয়র বলেন, জেলা প্রশাসন এলআর ফান্ডের কোটি কোটি টাকা কিভাবে কোথায় খরচ করছেন? এটা নরসিংদীর মানুষ জানতে চায়। একই সঙ্গে ক্যান্ডেল লাইট স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং মাধবদী গরু বাজারের জমি বরাদ্দে শ্রেণি পরিবর্তনে অনিয়মের অভিযোগ তুলেন। তিনি সরকার প্রদত্ত রোকেয়া পদকের জন্য নরসিংদী থেকে জেলা প্রশাসকের মায়ের নাম প্রস্তাবের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। জবাবে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক অভিযোগগুলো লিখিত আকারে কমিশনে পেশ করার পরামর্শ দেন।