শিরোনাম
শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সোমেশ্বরীর পাড়ে জমকালো নবান্ন উৎসব গারোদের

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

সোমেশ্বরীর পাড়ে জমকালো নবান্ন উৎসব গারোদের

নেত্রকোনায় নেচে-গেয়ে গারোদের নবান্ন উৎসব পালন —বাংলাদেশ প্রতিদিন

সোমেশ্বরীর পাড়ে এবার ১০০ ড্রাম বাজিয়ে ওয়ান গালা (নবান্ন উৎসব) পালন করেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুরের গারোরা। নবান্ন উপলক্ষকে প্রতিবছর গারো সম্পদ্রায় এ উৎসব করে থাকে। গতকাল বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির জিবিসি মাঠে দিনব্যাপী চলে এ উৎসব। গারোদের মান্দি ভাষায় ‘দক্কে দাম্মে খুশি অংঙে আনসেং আত্না আসংখো’ বাংলায় ‘সুরে ছন্দে আলোকিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’ স্লোগান ছিল এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য।

বৃহত্তর ময়মনসিংহের গারো নারী-পুরুষের অংশগ্রহণের পাশাপাশি বাঙালি-ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় উৎসব। সকালে এর উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ-১ আসনের সংসদ সদস্য  জুয়েল আরেং। পরে জেলা প্রশাসক ড. মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন— স্থানীয় এমপি ছবি বিশ্বাস, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য রেমন্ড আরেং, বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক শুভ্র চিরান, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিব দ্রং ও গারো ব্যাপ্টিস্ট কনভেনশন সভাপতি তনয়ানন্দ রেমা। উৎসবে দেশের বিভিন্ন স্থানের গারো শিল্পী দলের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হয়। সবশেষে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমির পরিচালনায় ‘রুগালা ও সাসাৎ সওয়া’ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির পরিচালক শুভ্র চিরান বলেন, ধানাকাটার উৎসব ‘ওয়ান গালার’ সঙ্গে ব্যক্তি ও সমাজের সাংস্কৃতিক নীরবতাকে জাগিয়ে তুলতেই এ উৎসবের আয়োজন।

উপকূলে ধান ঘরে তোলা উৎসব : কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, কলাপাড়া উপকূল জুড়ে কৃষকদের ধান কাটার ধুম পড়েছে। প্রতিটি কৃষক পরিবারে চলছে নতুন ধান ঘরে তোলা উৎসব। কৃষকদের চোখে-মুখে এখন সোনালি স্বপ্ন পূরণের ছাপ। এ বছর ধানের ফলনও হয়েছে ভালো। গত মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ বছরের ধান কাটার উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বলে উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

সর্বশেষ খবর