শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
আমতলীতে দক্ষ শিক্ষকের অভাব

মাল্টিমিডিয়ায় ক্লাস হচ্ছে না বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

আমতলী প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলার বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে ক্লাস হচ্ছে না। দক্ষ শিক্ষক না থাকাই এর মূল কারণ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

আমতলী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, আমতলী-তালতলীতে এমপিওভুক্ত চারটি কলেজ, ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৮টি জুনিয়র স্কুল, চারটি ফাজিল, একটি আলিম ও ৩৩ টি দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে। এর মধ্যে ‘এটুআই’ প্রোগ্রামের সহায়তায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৪৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতির ক্লাসের আওতায় আনা হয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ, ইন্টারনেট মডেম, প্রজেক্টর, সাউন্ড সিস্টেমসহ মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে শিখন পরিবেশ নিশ্চিত করেছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোতে আইসিটির দক্ষ শিক্ষক নেই। এমএমসি প্রজেক্টের আওতায় শিক্ষকদের ১৪ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। অল্প দিনের প্রশিক্ষণে পাওয়ার পয়েন্টে কনটেন্ট ও স্লাইট তৈরি করে শিক্ষার্থীদের সামনে আলোচ্যসূচি উপস্থাপন সম্ভব নয়। ফলে মুখ থুবড়ে পড়ছে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পাঠদান। প্রতিদিন ছয়টি বিষয়ে এ পদ্ধতিতে পাঠদানের কথা থাকলেও কিছু প্রতিষ্ঠানে দু-একটি ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে কারিগরি রুটির কারণে মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতি বন্ধ রয়েছে। আমতলী এমইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বেশির ভাগ ক্লাস এ পদ্ধতিতে হয় না। আমতলী সরকারি কলেজের এক ছাত্র জানান, শুধু যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ের ক্লাস মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে হয়।

মোহাম্মদপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবু তাহের জানান, চার মাস ধরে প্রজেক্টর নষ্ট থাকায় মাল্টিমিডিয়ায় ক্লাস নিতে পারছি না। চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান জানালেন দক্ষ শিক্ষকের সংকটের কথা। আমতলী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, অনেক প্রতিষ্ঠানে দক্ষ শিক্ষকের অভাব ও কারিগরি রুটির কারণে ক্লাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক মুশফিকুর রহমান জানান— এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর