সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ছাত্রলীগই ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

ছাত্রলীগই ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সবকিছুতেই ছাত্রলীগ। টেন্ডার, নিয়োগ বাণিজ্য, সংঘর্ষ-হানাহানি, অবরোধ, ট্রেনের বগি আর হল দখল সবকিছুতেই ছাত্রলীগের হাত রয়েছে। তারা এতটাই  বেপরোয়া, বেসামাল যে ‘পান থেকে চুন খসলেই’ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন গ্রুপ ও উপগ্রুপ। গত এক বছরে তাদের মধ্যে অর্ধশতাধিক সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিয়ন্ত্রণহীন ছাত্রলীগের লাগাম টানতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি চবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। পরে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলেও থামানো যায়নি ছাত্রলীগকে। টেন্ডার এবং নিয়োগ বাণিজ্যে ছাত্রলীগ জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চবি ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু। তিনি বলেন, ‘এটা অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ অপপ্রচারটা এত জোরালোভাবে করছে যে, মিথ্যাটাই যেন আজ সত্যে পরিণত হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অন্যায়কে কখনো চবি ছাত্রলীগ আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না। দায়িত্ব নেওয়ার পর এ পর্যন্ত যারাই অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ জানা যায়, ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি ছাত্রলীগ-শিবির রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে মামুন হোসেন নামে এক শিবির নেতা নিহত এবং উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। ওই সংঘর্ষের পর থেকে শিবিরের শক্ত ঘাঁটি চবি ক্যাম্পাসে একক আধিপত্য খর্ব হতে থাকে। পরবর্তী এক বছরে পুরো ক্যাম্পাসে একক আধিপত্য বিস্তার করে ছাত্রলীগ। গত বছরের ২১ জুলাই চসিক মেয়র আ জ ম নাছিরের সমর্থক আলমগীর টিপুকে সভাপতি এবং সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী ফজলে রাব্বী সুজনকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এ কমিটি ঘোষণার পর থেকে ক্যাম্পাসে বেপরোয়া হয়ে ওঠে দুমফ গ্রুপ। সর্বশেষ গত ২০ নভেম্বর চবি ক্যাম্পাস থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় চবি ছাত্রলীগ নেতা ও সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেনসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে দিয়াজের পরিবার।

সর্বশেষ খবর