সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সাতক্ষীরায় মনোনয়ন বাতিলে বিক্ষোভ, শেরপুরে শোডাউন

জেলা পরিষদ নির্বাচন

সাতক্ষীরা ও শেরপুর প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেওয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন যুবলীগ-ছাত্রলীগ। সাতক্ষীরা শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে গতকাল বিকালে সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল থেকে মুনসুর আহমেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক নজরুল ইসলামকে দেওয়ার দাবিতে নানা স্লোগান দেওয়া হয়। পরে শহরের নিউ মার্কেট চত্বরে সমাবেশে বক্তৃৃতা করেন, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন অনু, যুবলীগ নেতা আফজাল হোসেন মারুফ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হুসাইন সুজন, সম্পাদক এহসান হাবিব অয়ন প্রমুখ। এ সময় শতাধিক ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বর উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, মুনসুর আহমেদ পাঁচ বছর জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময়ে তিনি দলের জন্য কিছুই করেননি। টাকা ছাড়া অনুমোদন দেননি কোনো বরাদ্দ। অবিলম্বে মুনসুর আহমেদকে বাদ দিয়ে তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে নজরুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়া হোক।

এদিকে শেরপুরে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক চন্দন কুমার পালের পক্ষে পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল ও ৫০টি অন্য গাড়ি নিয়ে গতকাল শোডাউন হয়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ভোটার, দলীয় নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষিরা অংশ নেন। দলীয় প্রার্থীকে ময়মনসিংহ-শেরপুর সীমান্ত থেকে শোডাউন সহকারে আনা হয় শেরপুর সদরে। এ সময় হুইপ ও শেরপুর সদর আসনের এমপি মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে তিনটি পথ সভা করেন। গতকালই চন্দন কুমার ঢাকা থেকে মনোনয়ন নিয়ে ময়মনসিংহ হয়ে শেরপুরে আসেন। শোডাউনের বিষয়ে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী ইলিয়াছ উদ্দিন জানান, নির্বাচনের শুরুতেই হুইপ আতিক দলীয় প্রার্থী নিয়ে যে শোডাউন করেছেন তা সম্পূর্ণ আচরণবিধির লঙ্ঘন। তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন। অপর প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির রুমানের ভাই যুবলীগ নেতা ইয়াকুব আলী বলেন— আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করা হবে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালায় যে কোনো প্রকার শোডাউন নিষেধ।’ জেলা প্রশাসক ডা. এএম পারভেজ রহিম বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।’ চন্দন কুমার বলেন, ‘শোডাউনের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। মনোনয়ন পাওয়ার পর শেরপুর আসার পথে নেতা-কর্মীরা আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।’ আতিউর রহমান আতিক বলেন, ‘মনোনয়নপত্র এখনো জমা দেওয়া হয়নি, সুতরাং আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি।’

সর্বশেষ খবর