মেহেরপুর কারাগারে দুর্নীতি ও বন্দী নির্যাতন মামলায় জেলার আখতার হোসেন ও তিন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মেহেরপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতের বিচারক সানাউল্ল্যাহ গতকাল এ আদেশ দেন। পরোয়ানাভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন— মেহেরপুর কারাগারের প্রধান কারারক্ষী আল আমিন, কারারক্ষী সোলাইমান হোসেন ও মামুন হোসেন। জেলার আখতার হোসেন বর্তমানে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ওএসডি হিসেবে কর্মরত। বাকিরা আছেন মেহেরপুর জেলা কারাগারে। বাদীপক্ষের আইনজীবী এহান উদ্দিন মনা জানান, বিচারক মামলার নথি পর্যালোচনা, সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামিদের জবানবন্দীর ভিত্তিতে সোমবার চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। বাদি শেখ মনি বলেন, ‘বিচারকের আদেশে আমরা সন্তুষ্ট। ভবিষ্যতে কোনো কারাবন্দীকে তার ভাইয়ের মতো যেন নির্যাতনের শিকার হতে না হয় সে কারণে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’ মামলার এজাহারে জানা যায়, জেলার আখতার হোসেনসহ অন্য আসামিরা বেতনভুক সরকারি কর্মচারী হওয়ার পরও পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে বন্দিদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন, ফাইল কাটা বাবদ টাকা নেওয়া, সাক্ষাতের জন্য অফিস কল বাবদ বন্দিপ্রতি ২৫০-৫০০ টাকা আদায়সহ নানা অনিয়ম করে আসছিলেন। এ সবের প্রতিবাদ করায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি শেখ শাহীর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন জেলার। নির্যাতনে শাহী গুরুতর জখম হলেও চিকিৎসা না দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে তাকে যশোর কারাগারে স্থানান্তর করেন আখতার হোসেন। বর্তমানে শাহী পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় শাহীর ভাই শেখ মনি গত ১৩ অক্টোবর মেহেরপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জেলার আখতার হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
