শিরোনাম
বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ থামছে না

চট্টগ্রামে পুলিশের সতর্কতা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ থামছে না। একদিনেই ১১০০ রোহিঙ্গা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে দেশে অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে সাত শতাধিক আশ্রয় নিয়েছে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে।  দেড় শতাধিক আশ্রয় নিয়েছে টেকনাফের লেদা ক্যাম্পে এবং আরও প্রায় আড়াইশ রোহিঙ্গা বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। এদিকে কিছু সংখ্যক দালাল রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে সহায়তা করছে। সোমবার পর্যন্ত এমন ১৪ দালালকে আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। সোমবার মধ্যরাত থেকে গতকাল দুপুর ১২টার মধ্যে সাত শতাধিক রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। এনজিও সংস্থা অ্যাকশন ফেইমের (এসিএফ) কর্মী সাজেদা বেগম নতুন আসা রোহিঙ্গাদের তালিকাভুক্ত করছেন। তিনি জানান, আমরা সব রোহিঙ্গাকে তালিকাভুক্ত করি না। শুধু যাদের ছোট শিশু রয়েছে তাদের তালিকাভুক্ত করে শিশুদের জন্য কিছু পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করি। ক্যাম্পের এ ব্লকের মাঝি আবদুল হাফেজ জানান, রাতের অন্ধকারে এসে বেশির ভাগ রোহিঙ্গা কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রয় নিচ্ছে। তবে অনেকে পরে এখান থেকে বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে। অনুপ্রবেশকারীরা জানান, সেনারা মংডু এলাকার রোহিঙ্গা নেতাদেরও ধরে নিয়ে হত্যা করছে। অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের দাবি, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নামে রোহিঙ্গাদের হয় হত্যা না হয় উদ্বাস্তু করার নীতি নিয়েছে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী। এ দেশে আসতে গিয়ে নৌকাডুবিতেও মারা যাচ্ছে অনেক নারী-শিশু। সেনা অভিযানে আহত অনেকে বিনা চিকিৎসায়ও মারা যাচ্ছে। কোনো বিদেশি সংস্থাকেও রাখাইন রাজ্যে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে ৩৭ রোহিঙ্গা নাগরিককে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি।  নাফ নদী দিয়ে অনুপ্রবেশকালে পালংখালী বিওপি এবং রেজুখাল যৌথ চেকপোস্ট কর্তৃক সীমান্ত শূন্যরেখায় সোমবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত এসব রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হয়।

চট্টগ্রামে পুলিশের সতর্কতা : নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম জানান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় নগরীর দুটি স্পর্শকাতর প্রবেশপথে অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। একইভাবে বাকি প্রবেশপথগুলোতেও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পুলিশ সদস্যদের। সিএমপির বিবেচনায় স্পর্শকাতর প্রবেশপথের একটি হচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক দিয়ে নগরীর প্রবেশমুখ শাহ আমানত সেতু। আরেকটি হচ্ছে চট্টগ্রাম আরাকান সড়কের কালুরঘাট সেতু। গতকাল এ সতর্কতা জারি করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. ইকবাল বাহার।

সর্বশেষ খবর