বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

রণাঙ্গনে থেকেও পাননি মুক্তিযোদ্ধা সনদ

মো. নাসির উদ্দিন, টাঙ্গাইল

রণাঙ্গনে থেকেও পাননি মুক্তিযোদ্ধা সনদ

মাহমুদুল আলম

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম তাকে ডাকতেন শিল্পী বলে। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও রণাঙ্গনের সেই শিল্পী মাহমুদুল আলমের ভাগ্যে জোটেনি রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি। চাকরিরত অবস্থায় প্রয়োজনীয় তদবির না থাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় তালিকাভুক্ত হতে পারেননি। এখন অবসর সময়ে তালিকাভুক্তির জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে তিনি ক্লান্ত। জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার খারজানা গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে মাহমুদুল আলম ১৯৭১ সালে ঢাকায় ভাইয়ের বাসায় থেকে লেখাপড়া করতেন সেগুনবাগিচা মিউজিক কলেজে। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে প্রতীজ্ঞা করেন যুদ্ধে গিয়ে দেশ শক্রমুক্ত করার। মাহমুদুল সখীপুর, ঘাটাইল, ধলাপাড়াসহ কয়েকটি স্থানে হানাদার বাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করেন। করেছেন পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধ। এতে আহতও হয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের আনুমানিক ১৭ জানুয়ারি কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী স্কুলমাঠে অস্ত্র জমা দেন মাহমুদুল। ১৯৭৫ সালে তিনি কারারক্ষীর চাকরিতে যোগদান করেন। বিভিন্ন জায়গায় চাকরিতে থাকায় যথাসময়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জাতীয় তালিকাভুক্ত হতে পারেননি। ২০০৪ সালে ইউনিয়ন পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে তিনি সনদপত্রপ্রাপ্ত হন। প্রয়োজনীয় সনদ ও কাগজপত্র থাকার পরও রাষ্ট্রীয়ভাবে তালিকাভুক্ত হতে পারেননি মাহমুদুল।

সর্বশেষ খবর