শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

এক হাজারের মধ্যে ৪০০ সচ্ছল

পাবনায় ১০ টাকার চালের তালিকা

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনা আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ইউনিয়নে এক হাজার ২০১ সুফলভোগীর মধ্যে অন্তত ৪০০ জনই সচ্ছল। এদের মধ্যে ৬০ জনের রয়েছে পাকা বাড়ি। ৫ থেকে ৬ বিঘা করে জমি আছে এমন ২৫-২৬ জনের নাম আছে তালিকায়। এ ছাড়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তালিকাভুক্ত ৭০টি পরিবারই ভুয়া। এসব নামে কোনো ব্যক্তির অস্তিত্ব সেখানে নেই। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও কয়েকজন ডিলার অস্তিত্বহীন এসব মানুষের নামে বরাদ্দের চাল কালোবাজারে বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করছেন। অভিযোগ রয়েছে মাজপাড়া ইউনিয়নের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়া অন্য সাতটিতে ১০ টাকার চাল নিয়ে চলছে নয়ছয়।

মাজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিন্নাত আলী বলেন, ‘সরকার দুস্থদের জন্য ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রি করছে। অথচ মাজপাড়ার চেয়ারম্যান গফুর মিয়া ভুয়া লোকের নাম তালিকাভুক্ত করে চাল তুলে কালোবাজারে বিক্রি করছেন। এতে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত দরিদ্ররা।’ মাজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক গফুর মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এখনকার গরিব মানুষও পাকা বাড়িতে বসবাস করে থাকে। তাই এমন কিছু লোক এই সুবিধা পেয়ে থাকতে পারে।’ চেয়ারম্যান জানান, মেম্বরদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী সুফলভোগীদের তালিকা করা হয়েছে। এখানে ভুয়া লোক বা চেয়ারম্যানের নিজস্ব কোনো পছন্দ নেই। জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের হয়ে বিগত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত এক প্রার্থী তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আটঘরিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানান, মেম্বর ও চেয়ারম্যানদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী তারা শুধু ডিও দেন। তাদের এর বেশি করার কিছু নেই। ইউএনও জানান, বিষয়টি সম্পর্কে লিখিত অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বীরগঞ্জে নতুন তালিকায়ও অনিয়ম : হতদরিদ্রদের জন্য সরকারের খাদ্যকর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের শতগ্রাম ইউনিয়নের নতুন তালিকাতেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দরিদ্র ও দুস্থদের অভিযোগ, পাকা বাড়ি, ৫/১০ বিঘা কৃষি জমি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে এমন ব্যক্তি এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নামে দেওয়া হয়েছে কার্ড। ১৯৪ জনের নাম বাতিল করে নতুন তালিকা করা হলে এতেও অনিয়ম হয়েছে। অনেক দরিদ্রের কাছ থেকে টাকা নিয়েও কার্ড দেওয়া হয়নি। উল্টো বহু দুস্থের কার্ড বাতিল করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্যের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। মহিলা মেম্বার ফাহিমা বেগম টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। শতগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান কেএম কুতুব উদ্দিন জানান, প্রকৃতভাবে উপযুক্তরা ১০ টাকা কেজির চাল পাবেন। অন্য কেউ এ সুবিধা নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশোধনী দিয়ে মেম্বাররাই তালিকা দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর