মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

জরাজীর্ণ ভবনে হেলমেট পরে অফিস

বাগেরহাট প্রতিনিধি

জরাজীর্ণ ভবনে হেলমেট পরে অফিস

অফিস ভবনে হেলমেট পরা কর্মকর্তারা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাগেরহাটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হেলমেট পরে অফিস করছেন জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আবার কেউ ভয়ে জরাজীর্ণ ভবনে প্রবেশ না করে কাজ ফেলে চলে যাচ্ছেন। কেউ আবার কর্মচারীদের বাইরে ডেকে প্রয়োজনীয় আলাপ সারেন। এভাবে আতঙ্কের মধ্য দিয়ে চলছে বাগেরহাট রেজিস্ট্রি অফিসের প্রতিদিনের কার্যক্রম। বাগেরহাট নকলনবিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তপন কুমার জানান, জেলা রেজিস্ট্রি অফিস সব শ্রেণির মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। গত ২০ বছরে এ ভবনটি একবার নামমাত্র সংস্কার হয়েছে। বর্তমানে এখানে কার্যক্রম পরিচালনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় ছাদ ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঘটতে পারে। নতুন ভবনের জন্য জমি বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে জানিয়েও প্রতিকার মিলছে না। তাই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হেলমেট পরে অফিস করছেন। জানা যায়, জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে গত ২৮ নভেম্বর কম্পিউটার অপারেটর সামছুল আরেফিনের বসার স্থানে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। ভাগ্যক্রমে রক্ষা পান তিনি। প্রতিনিয়ত ঝরে পড়ছে বালু, খসে পড়ছে দেয়াল ও ছাদের পলেস্তারা। ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও চাকরি বাঁচাতে বাধ্য হয়ে ওই ভবনে অফিস করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও হয়নি প্রতিকার বা অন্যত্র অফিস স্থানান্তরের ব্যবস্থা। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এ ভবনটির অবস্থা এখন এতটাই খারাপ, যে কোন সময় ছাদ ধসে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে নতুন ভবনের জন্য জমি বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রেজিস্ট্রি অফিস সূত্র জানায়, বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রে ৫৪ শতক জমিতে ব্রিটিশ আমলে আদালত ভবন নির্মিত হয়। পরবর্তীতে আদালত ভবনে অন্যত্র নির্মিত হলে ওই স্থাপনা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে গণপূর্ত অধিদপ্তর। সেই পরিত্যক্ত ভবনে সামান্য সংস্কার করে ১৯৯৭ সালে সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও মহাফেজ খানার জন্য বরাদ্দ দেয়। তখন থেকে জরাজীর্ণ এ ভবনে রেজিস্টার অফিস, সাব-রেজিস্টি অফিস ও সদর রেকর্ড রুমের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে ভবনটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি জেনেও হেলমেট মাথায় দিয়ে অফিস করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সর্বশেষ খবর