মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সৌদিতে ‘নিখোঁজ’ চম্পা উদ্ধার অভিযুক্ত মোবারক হাজতে

বাংলাদেশ প্রতিদিনে খবর

শ্রীপুর প্রতিনিধি

‘বাংলাদেশ প্রতিদিনে’ খবর প্রকাশের ছয় দিনের মাথায় সৌদি আরব যাওয়ার পর নিখোঁজ গাজীপুর শ্রীপুরের সেই চম্পা বেগমকে পুলিশি তত্পরতায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দেশে ফেরার পর রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিনের দেশগ্রাম পাতায় ‘ভাইয়া আমাকে বাঁচান, এরপরই সংযোগ বিচ্ছিন্ন’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর শ্রীপুর থানা পুলিশ চম্পাকে উদ্ধারে তত্পরতা শুরু করে। চম্পা বেগম (২৫) শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া উত্তরপাড়ার আব্দুল মালেকের মেয়ে। তাকে আড়াই মাস আগে ভাল চাকরি কথা বলে সৌদি পাঠায় কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ডোয়াইনগর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে মোবারক হোসেন। মোবারক কেওয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের জামাতা। শ্রীপুর থানার এসআই আবুল হাসান জানান, তারা বিষয়টি জেনে অভিযুক্ত মোবারকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন চম্পাকে উদ্ধারের জন্য। রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোবারকের মাধ্যমে চম্পা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে মোবারক চম্পাকে নিয়ে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা পৌঁছলে দুজনকেই আটক করা হয়। চম্পা জানান, সৌদি আরবের রিয়াদ আমিনতু এলাকায় পাঠিয়ে তাকে দেহ ব্যবসা করতে চাপ দেয়। তাতে রাজি না হওয়ায় আলাদা ঘরে রাখা হয়। বিদেশি লোকেরা দুই হাতের আঙুল দেখিয়ে তাকে কিনে এনেছে বলে জানায়। ওই দেশে থাকা তাছলিমা নামে এক বাঙালি দেহব্যবসার কাজে বাধ্য করতে চেইন দিয়ে পেটায়। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। কিছুদিন পর অন্য কয়েক নারী এসে সেবা শুশ্রূষা করে। অভিযুক্ত মোবারক হোসেন জানান, চম্পাকে বিক্রি করা হয়নি। দেহব্যবসার কাজে বাধ্য করানোর অভিযোগও সঠিক নয়। শ্রীপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, মোবারক হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর