বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

চার জেলা দুই উপজেলায় মুক্ত দিবস পালিত

প্রতিদিন ডেস্ক

যশোর, সুনামগঞ্জ, ফেনী, ঝিনাইদহ জেলা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও নীলফামারীর ডোমার মুক্ত দিবস ছিল গতকাল। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর এসব জেলা-উপজেলা পাক-হানাদারমুক্ত হয়। দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করেছে। প্রতিনিধিদের খবর— ফেনী : শহরের শহীদ মিনার চত্বরে ‘উড়াই বিজয় নিশান’ স্লোগানে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে উৎসব উদ্বোধন করেন লে. কর্নেল (অব) জাফর ইমাম বীর বিক্রম। এ সময় আলাউদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী নাসিম, সংসদ সদস্য শিরিন আক্তার, সংরক্ষিত মহিলা আসনের জাহানারা বেগম, জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসান প্রমুখ। শপথবাক্য পাঠ করান জাফর ইমাম। শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া হয় সংবর্ধনা। পরে শহীদ মিনার থেকে এক হাজার মিটার দীর্ঘ জাতীয় পতাকা হাতে শোভাযাত্রা বের করা হয়। যশোর : কালেক্টরেট ভবন চত্বরে কর্মসূচি উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর। বক্তৃতা করেন— মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিট কমান্ডার রাজেক আহমেদ। পরে সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন, র‌্যালি ও শহরের বকুলতলা মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। সুনামগঞ্জ : জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যলয় থেকে র‌্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন— শেখ রফিকুল ইসলাম, আয়ুব বখত জগলুল, ইদ্রিস আলী প্রমুখ। বিকালে মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ানের লেখা ‘একাত্তরে সুনামগঞ্জ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। ঝিনাইদহ : মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবন থেকে র‌্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে পায়রা চত্বরে এসে শেষ হয়। সেখানে আলোচনাসভায় মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অ্যাড. আব্দুল ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দার। ব্রাহ্মণবাড়িয়া : আখাউড়া উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শোভাযাত্রা বের হয়। পরে অ্যাড. সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও মাল্যদান করা হয় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে। নীলফামারী : ডোমারে র‌্যালি ও সমাবেশ করেছে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। নুরন্নবীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবিহা সুলতানা। এছাড়া প্রতিনিধিরা জানান, শেরপুর, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, নোয়াখালী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর মুক্ত দিবস আজ। দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর