বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঝুঁকিপূর্ণ সিলিন্ডার গ্যাস ভরে বাজারজাত করছে কুষ্টিয়ার ৫ প্রতিষ্ঠান

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

বাতিল ও ঝুঁকিপূর্ণ সিলিন্ডারে গ্যাস ভরে (রিফিল) বাজারে ছাড়ার অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া শহরের দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। শহরের কালিশংকরপুরের বাসিন্দা দুই সহোদর রাজু ও তাজুর মালিকানাধীন পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে গত এক বছর ধরে এ অপকর্ম চালাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার ওই দুই ব্যবসায়ীর কালিশংকরপুরের বাড়িতে পুরনো সিলিন্ডার রং করার সময় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. জহুরুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় পুরনো গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সামান্য জরিমানা করে ছেড়ে দিলেই চলবে না। তিনি বলেন, যে কোম্পানির নাম ব্যবহার করে এই গ্যাস বাজারজাত করা হচ্ছে তারাও এর দায় এড়াতে পারেন না। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক জহির রায়হান বলেন— যারা মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করে তাদের মার্জনা করা যায় না। তবে শুধু অর্থদণ্ডই নয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।  এ ধরনের কর্মকাণ্ড মোটেও বরদাশত করা হবে না। অনুসন্ধানে জানা গেছে, শহরের কালিশংকরের বাসিন্দা দুই ভাই রাজু ও তাজু চট্টগ্রামের বিভিন্ন মার্কেট থেকে পরিত্যক্ত সিলিন্ডার কিনে কুষ্টিয়ায় নিয়ে আসেন। পরে তাদের বাড়িতে এসব সিলিন্ডার রেখে তাতে রংয়ের প্রলেপ দিয়ে চকচকে করে তাতে যমুনা গ্যাসের নাম লেখা হয়। এসব সিলিন্ডার যমুনা গ্যাসের ডিপোতে নিয়ে তাতে গ্যাস ভরে এনে বাজারজাত করা হয়। জানা যায়, বাংলাদেশের এলপি গ্যাস বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু অসাধু এই চক্রটি মাত্র ৪-৫শ’ টাকা দরে চট্টগ্রামের বাজার থেকে পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার সংগ্রহ করছে। এতে তারা ক্রেতাদের কাছে তুলনামূলক কম দামে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছেন। এতে শহরের অন্যান্য গ্যাস বিক্রেতারা মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। জানা গেছে, রাজু ও তাজুর মালিকানাধীন শহরের এনএস রোডে রাজু সাইকেল স্টোর, আলীফ ও আখলাক নামের দুটি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও একই সড়কের লাল মহাম্মদ তেলকল, টিকেপাড়া মসজিদ ও কুষ্টিয়া স্টেডিয়াম এলাকার একটি দোকানে এই গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর