বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

কচুরিপানার দখলে কাপ্তাই হ্রদ, নৌ-চলাচল ব্যাহত

রাঙামাটি প্রতিনিধি

কচুরিপানার দখলে কাপ্তাই হ্রদ, নৌ-চলাচল ব্যাহত

রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

কচুরিপানার কারণে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে নৌ-চলাচল হুমকির মুখে। ফলে পাহাড়ে বসবাসরত হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। কচুরিপানা অপসারণের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। সরজমিনে দেখা গেছে— রাঙামাটি শহর ঘিরে থাকা কাপ্তাই হ্রদের বিস্তীর্ণ এলাকা এখন কচুরিপানার দখলে। দীর্ঘদিন ধরে পুরোপুরি অচল হয়ে গেছে ফিশারি বাঁধ, তবলছড়ি, বরকল, লংগদু, কাপ্তাই জেটিঘাট ও কাপ্তাই মৎস্য অবতারণ কেন্দ্র। তাছাড়া কচুরিপানার কারণে কাপ্তাই হ্রদ থেকে মাছ আহরণে জেলেদের প্রতিদিন পোহাতে হয় দুর্ভোগ। আহরিত মাছ নিয়ে নৌকায় অবতারণ (ল্যান্ডিং) ঘাটে আসতেও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ইঞ্জিনচালিত নৌকার পাখা আটকে যায় কচুরিপানায়। এ জট সরাতে প্রতিদিনই তাদের অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ে মাছ নিয়ে ঘাটে পৌঁছতে না পারায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। রাঙামাটি লঞ্চ মালিক সমিতি, সভাপতি মঈনু উদ্দীন সেলিম জানান, রাঙামাটি জেলার ৬টি উপজেলা— বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, লংগদু, বাঘাইছড়ি ও নানিয়ারচরে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। কচুরিপানার কারণে যাতায়াত ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কাপ্তাই হ্রদের কচুরিপানা অপসারণের দীর্ঘদিনের দাবি থাকলেও কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। পার্বত্য জেলা পরিষদ কচুরিপানা অপসারণের জন্য পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করলেও তা কাজে-কলমে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন চৌধুরী জানান,  কাপ্তাই হ্রদের জন্য বিরাট সমস্যা কচুরিপানা। পার্বত্য জেলা পরিষদ যে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করেছিল তা অর্থ সংকুলানের জন্য হয়নি। কারণ এটি জেলা পরিষদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। যৌথ কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন। এদিকে কচুরিপানার কারণে বিপাকে পড়ছে পর্যটকরাও।

সর্বশেষ খবর