শিরোনাম
শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিজয় দিবস উদযাপিত

বর্ণাঢ্য আয়োজন জেলায় জেলায়

প্রতিদিন ডেস্ক

জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে গতকাল উদযাপিত হয়েছে ৪৫তম বিজয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে জেলায় জেলায় নানা কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এর মধ্যে ছিল শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কুচকাওয়াজ, আলোচনা সভা, বিজয়র‌্যালি, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের খবর— দিনাজপুর : চিরিরবন্দর উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে চিরিরবন্দর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়মাঠে কুচকাওয়াজ উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন— ‘প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃতে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোনো সন্ত্রাসি, জঙ্গি দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। ইউএনও ফিরোজ মাহমুদের সভাপতিত্বে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে মাশফাকুর রহমান, আয়ুবর রহমান, আহসানুল হক মুকুল বক্তব্য রাখেন। চুয়াডাঙ্গা : দারিদ্র্য ও জঙ্গিবাদমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। পরে চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন ডিসি সায়মা ইউনুস। ময়মনসিংহ : রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়াম মাঠে সকালে কর্মসূচি উদ্বোধন করেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। এ সময় সালেহ উদ্দিন, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, খলিলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে শিক্ষার্থীরা শারীরিক কসরত প্রদর্শন করেন। মাগুরা : ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে সূচনা হয় দিবসের। পরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পুষ্পমাল্য অর্পণ ও বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিসি মাহবুবুর রহমান। চাঁদপুর : চাঁদপুর স্টেডিয়ামে পতাকা উত্তোলন শেষে ডিসি, এসপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে সঙ্গে নিয়ে পায়রা অবমুক্ত করা হয়। পরে মার্চপাস্ট প্রদর্শন করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও শিক্ষার্থীরা। অভিবাদন মঞ্চে ডিসি আব্দুস সবুর মণ্ডলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে সালাম গ্রহণ করেন এসপি সামছুন্নাহার। চাঁপাইনবাবগঞ্জ : কালেক্টরেট চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন। এ সময় আব্দুল ওদুদ এমপি, ডিসি মাহমুদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থি ছিলেন। কিশোরগঞ্জ : সরকারি গুরুদয়াল কলেজ শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও পরে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ। বেলা সাড়ে ১১টায় ডিসি আজিমুদ্দিন বিশ্বাসের নেতৃত্বে বের হয় বিজয় শোভাযাত্রা। গাইবান্ধা : বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্থানীয় এমপি জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, ডিসি আব্দুস সামাদ, এসপি আশরাফুল ইসলাম। লক্ষ্মীপুর : জেলা স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ থেকে লাঠিখেলা ও বাদ্য-বাজনায় বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে। এর আগে স্টেডিয়াম মাঠে পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা। এরআগে রাতে প্রথম প্রহরে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। এ সব কর্মসূচিতে একেএম শাহাজান কামাল এমপি, আবু নোমান, জিল্লুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ অংশ নেন। লালমনিরহাট : মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন থেকে র‌্যালি শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে আলোচনা সভা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, সংসদ সদস্য সফুরা বেগম রুমি, ডিসি আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান প্রমুখ। মুন্সীগঞ্জ : প্রথম প্রহরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ফলকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ডিসি সায়লা ফারজানা, এসপি জাহেদুল আলম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আনিছুজ্জামান আনিছসহ জেলা আইনজীবী পরিষদ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন। শেরপুর : ভোরে মুক্তিযোদ্বা স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সদর আসনের এমপি ও সরকার দলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিক। এরপর ফুল দেন ডিসি, এসপি, সিভিল সার্জন, পৌর মেয়রসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন। পরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে হয় কুচকাওয়াজ। নেত্রকোনা : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কালেক্টরেট প্রাঙ্গণ ও সাতপাই শহীদদের স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ড. মুশফিকুর রহমান, জয়দেব চৌধুরী ও নূরুল আমীন। পরে একে একে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন স্মৃতি ফলকে ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। টাঙ্গাইল : দিবসের শুরুতেই ডিসি মাহবুব হোসেন ও এসপি মাহবুব আলম শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, পৌরসভা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন। নোয়াখালী : বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম প্রহরে মাইজদী শহীদ স্মৃতি ফলকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, পৌরসভা, নোয়াখালী প্রেসক্লাব, জাসদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া : সকালে স্থানীয় এমপি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ডিসি রেজওয়ানুর রহমান ও এসপি মিজানুর রহমান শহরের ফারুকী পার্কের স্মৃতিসৌধে শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। নীলফামারী : নীলফামারী হাইস্কুল মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন ডিসি জাকীর হোসেন ও এসপি জাকির হোসেন খান। একই মাঠে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানানো ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন করা হয়। ঝিনাইদহ : সকালে স্থানীয় শহীদ স্মৃতিসৌধ পার্কে ডিসি মাহবুব আলম, এসপি মিজানুর রহমান, সিভিল সার্জন আব্দুস সালাম, প্রেসক্লাব সভাপতি এম রায়হানসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠন শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। সিরাজগঞ্জ : প্রথম প্রহরে মুক্তির সোপানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ডিসি কামরুন নাহার সিদ্দীকা। এরপর একে একে এমপি ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সংরক্ষিত আসনের এমপি সেলিনা বেগম স্বপ্না, এসপি মিরাজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ধামরাই : ঢাকার ধামরাই পৌরসভার উদ্যোগে পঘাড়ার গাড়ি, পমাটরসাইকেল, পিকআপ ভ্যান ও বাইসাইকেল নিয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। নেতৃত্ব দেন পৌরমেয়র গোলাম কবির। উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাকু, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্যানেল মেয়র শহিদুল্লাহ প্রমুখ। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ধামরাই হার্ডিঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ইউএনও আবুল কালামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় এমপি এমএ মালেক। গাজীপুর : বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করা হয়। পরে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানান ডিসি এসএম আলম, এসপি হারুন অর রশীদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। সকালে ডিসির নেতৃত্বে র‌্যালি শেষে শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ। টঙ্গী : সকালে মহানগর ছাত্রলীগের উদ্যোগে টঙ্গী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী মনজু ও সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিমের নেতৃত্বে বিজয় র‌্যালি বের হয়। এ সময় স্থানীয় এমপি জাহিদ আহসান রাসেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম দিপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর