শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ম্য অতিষ্ঠ রোগী ও স্বজনরা

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুর সদর হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ম্যে রোগী ও তার স্বজনরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কোনো কাজই দালাল ছাড়া হচ্ছে না। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বেশ কয়েকবার খবর হয়েছে। কিন্তু দালালের দৌরাত্ম্য কমেনি। জানা গেছে— সংঘবদ্ধ এ দালাল চক্রের কাছে হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীদের একটি অংশ জিন্মি। জিন্মি হাসপাতালের ওষুধ, প্যাথলজি ব্যবসায়ী ও ক্লিনিকগুলো। অনেকের বিরুদ্ধে দালাল চক্রকে আশ্রয়-প্রশ্রয়ের অভিযোগও রয়েছে। দালালদের মধ্যে কেউ কেউ রাজনৈতিক দলের পরিচয় বহন করে দাপট দেখাচ্ছে। কোনো সমস্যা হলে নেতার সুপারিশে পুরান ব্যবসায় আবার ফিরে আসে বহাল তবিয়তে। হাসপাতাল কর্মচারীদের মধ্যেও কেউ কেউ এ কাজে জড়িত। অভিযোগে জানা গেছে, সকাল থেকে রাত— শিফটিং করে চলে দালালি পেশা। ছোট বড় মিলিয়ে হাসপাতালে অন্তত ৯০ জন দালালের নাম জানা গেছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার হাসপাতালের আশপাশের ব্যবসায়ীরা দুপুরে হাসপাতাল এলাকায় হাসপাতালকে দালালমুক্ত করতে মানববন্ধন করে। জেলা আঞ্চলিক ডায়গনস্টিক সমিতির আয়োজনে বিভিন্ন পেশা ও ভুক্তভোগীরা এ মানববন্ধনে অংশ নেন। হাসপাতাল এলাকার চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট দোকানগুলোর সামনে লাগানে হয়েছে ‘দালাল হটাও’ ব্যানার। জেলা আঞ্চলিক ডায়গনস্টিক  সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ক্রিসেন্ট ও সাধারণ সম্পাদক মহসিন কবির মুরাদ বক্তব্য রাখেন। এলাকার সাবেক পৌর কমিশনার ফারুক আহাম্মেদ জানিয়েছেন— এখন হাসপাতালটিতে মানুষের রোগ না সারিয়ে দালাল সারানো দরকার। দালাল এখন হাসপাতালের ক্যান্সার। জেলা আঞ্চলিক ডায়গনস্টিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক মহসিন কবির মুরাদ বলেছেন এখানে সবাই দালালের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। চিকিৎসা কেন্দ্রটি এখন দালালের অভয়ারণ্য। সাধারণ মানুষ এখানে খুব অসহায়। সংগঠনের সভাপতি দোলায়ার হোসেন ক্রিসেন্ট বলেছেন সরকারের মহৎ এ প্রতিষ্ঠানে দালালরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিত্যপ্রতারণা করে আসছে। এখানে দালাল একবারে নির্মূল হয়নি স্বীকার করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও জেলার সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন আমি ছুটিতে আছি। ইতিপূর্বে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মানববন্ধনের কথা শুনেছি ছুটি কাটিয়ে এসে এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর