রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

পঞ্চগড়ে মহাসড়কে হাট বাড়ছে দুর্ঘটনা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড় সদর উপজেলার জগদল বাজারে মহাসড়ক দখল করে বসছে হাট। ঢাকা-বাংলাবান্ধা মহসড়কের উপর এই হাট বসায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে সাধারণের চলাচল ।

সরজমিনে দেখা গেছে,  প্রতি শনি ও বুধবার জগদল বাজারে হাট বসে। মহাসড়কের দুই পাশ দখল করে ধান ব্যবসায়ীরা কেনাবেচা করছেন। স্থানীয়রা জানান, ধানের সময় ধান, পাটের সময় পাট, তিলের সময় তিলসহ অন্যান্য ফসলের মৌসুমে ব্যবসায়ীরা কেনাবেচার জন্য মহাসড়ক দখল করেন। অনেক সময় রাস্তার মাঝখানে  পণ্যবোঝাই ভ্যান লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। এতে সড়কের দুই পাশে আটকা পড়ে বিভিন্ন পরিবহন। এই মহাসড়কের পাশেই জগদল উচ্চবিদ্যালয় এবং জগদল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এই দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। ছেলে-মেয়েদের পাঠিয়ে অভিভাবকরাও থাকেন দুশ্চিন্তায়।

নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, জেলায় সবচেয়ে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা জগদল। ২০১৫ সালে এই এলাকায় একই পরিবারের ছয়জন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। এ বছরের সেপ্টেম্বরে একই পরিবারের তিন, নভেম্বরে তিন মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বছরের বিভিন্ন সময় ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে।

এলাকার কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানান, সদর উপজেলার সবচেয়ে বড় হাট এটি। জেলার মধ্যস্থানে হাটটি গড়ে উঠায় অন্য উপজেলাসহ দেশের নানা প্রান্তের আমদানিকারকরা এই হাটে পণ্য কেনেন এবং বিক্রি করে থাকেন। নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকায় মহাসড়কেই চলছে হাট। তারা জানান, এই হাট থেকে সরকার বছরে এক কোটি টাকার বেশি আয় করে। কিন্তু হাটের উন্নয়নে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। নুনিয়া পাড়ার কৃষক আব্দুস ছালাম জানান, মহাসড়কে পণ্য বেচাকেনা করতে অসুবিধা হয়। তাড়াহুড়ো করে বিক্রি করতে হয় আমাদের। হাটটি অন্য কোথাও বসলে ভাল হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী মাসুদ রানা জানান, জন্মের পর থেকে এই সড়কে হাট বসতে দেখছি। হাটটি সরিয়ে ফেলা দরকার। মহসাড়কে বসার কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। ইজারাদার বাবুল হোসেন বলেন, ‘ব্রিটিশ আমল থেকে মহাসড়কেই হাট বসছে। হাটের জায়গার জন্য ব্যবসায়ীরা বহুবার সরকারি দপ্তরের যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি।’ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা মুনতাজেরী দীনা জানান, জগদল বাজারের আশপাশে সরকারি জমি নেই। তাই হাটটি সম্প্রসারণ করা যাচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর