সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

নীলক্ষায় ১৪৪ ধারা ভেঙে এমপির সামনে সংঘর্ষ

গুলি বাড়ি ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ

নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর রায়পুরার নীলক্ষার চরে তৃতীয় বারের মতো ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে স্থানীয় এমপি ও পুলিশের উপস্থিতিতে দুই লাঠিয়াল বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। যা পরে রূপ নেয় টেঁটাযুদ্ধে। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, গুলির ঘটনাও ঘটে। একপর্যায়ে সংসদ সদস্য ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে নিলক্ষা ছেড়ে চলে আসেন। জানা যায়, নীলক্ষার দুটি গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। স্থানীয় এমপি রাজিউদ্দিন আহম্মেদ রাজু গতকাল বিবাদ মীমাংসার জন্য নিলক্ষায় যান। তার উপস্থিতিতে হরিপুর এলাকায় রাজিব বাহিনীর লোকজন হক চেয়ারম্যান সমর্থকদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে কয়েকটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। মীমাংসার পরিবর্তে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে এমপি ও পুলিশের সামনেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। একপর্যায়ে নারী-পুরুষ টেঁটা, বটিসহ লাঠিসোঁটা নিয়ে এমপিকে ঘিরে ফেলে। এমপি রাজিব বাহিনীর কর্মকাণ্ডে ক্ষিপ্ত হন। দুঃখ প্রকাশ করে এলাকা ছেড়ে চলে আসেন। এমপি চলে যাওয়ার পর শুরু হয় রাজিব ও শহীদ বাহিনীর মধ্যে টেঁটা ও বন্দুকযুদ্ধ। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর মধ্যপাড়ার সজল হোসেন, বড়বাড়ির ওবায়দুল্লাহ ও সাইজ উদ্দিন। সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সজলের পায়ে, ওবায়দুল্লাহর হাতে ও সাইজ উদ্দিনের গলা ও কপালে গুলি লেগেছে।

এলাকাবাসী জানান, এর আগে গত ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী টেঁটা ও বন্দুকযুদ্ধে নীলক্ষায় মামুন, মানিক, খোকন ও শাহজাহান নামে চার ব্যক্তি নিহত হন। এর মধ্যে মামুন, মানিক ও খোকন হত্যার ব্যাপারে রায়পুরা থানায় আজও কোনো মামলা রুজু হয়নি। বাধ্য হয়ে স্বজনরা আদালতে হত্যা মামলার অভিযোগ করেছেন। তবে মোটা অংকের অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে নিহত শাহজাহান খুনের ঘটনায় তার নিজ আত্মীয়-স্বজনকে আসামি করে ‘সন্ত্রাসী’ রাজিব একটি মামলা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় গত ১৮ নভেম্বর থেকে জেলা প্রশাসন নীলক্ষার চরে ১৪৪ ধারা জারি করেন।

সর্বশেষ খবর