নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ফরিদপুর জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা হতে যাচ্ছে। যে কোনো সময় নতুন কমিটি ঘোষণা আসতে পারে বলে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা। বিএনপির তৃণমূলের দাবি সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের। এক্ষেত্রে তারা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। দীর্ঘ এক যুগ পর ফরিদপুর জেলা বিএনপির সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সে সম্মেলনটি বিরোধিতার কারণে পণ্ড হয়ে যায়। পরবর্তীতে ফরিদপুরের সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজউদ্দিন আহমেদ সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ৩০ নভেম্বর ঢাকায় একটি প্রতিনিধি সভা করেন। সেই সভাটি সুষ্ঠুভাবে শুরু হলেও তা একপর্যায়ে ভণ্ডুল হয়। এরপর স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের চাপে ফরিদপুরে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জানা গেছে, সভাপতি পদে এখন পর্যন্ত যারা আলোচনায় রয়েছেন তারা হলেন, বর্তমান সভাপতি জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সহসম্পাদক মাহাবুবুল হাসান পিংকু। সাধারণ সম্পাদক পদে যারা আলোচনায় রয়েছেন তারা হলেন, বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম লিটন, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নাননু, জেলা যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেন খান পলাশ, জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক একেএম কিবরিয়া স্বপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল। দীর্ঘদিন ধরে যারা জেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তাদের বাদ দিয়ে তরুণ ও ত্যাগী নেতাদের নিয়ে কমিটি গঠনের চাপ ক্রমেই বাড়ছে বলে জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করে দলের একটি অংশ ঢাকা থেকে কমিটি করার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ বলেন, তৃণমূল যেভাবে চাইবে সেভাবেই সম্মেলন হবে। তৃনমূলের মতামত নিয়ে কমিটি করা হলে দল শক্তিশালী হবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, প্রতিনিধি সভাসহ ফরিদপুর বিএনপির সাংগঠনিক রিপোর্ট বেগম খালেদা জিয়ার কাছে দেওয়া হয়েছে। তিনি সবার সঙ্গে আলোচনা করে কমিটি গঠন করবেন।