মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

টাকার বিনিময়ে বৃত্তি!

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জে টাকার বিনিময়ে খাতায় প্রাপ্ত নম্বরের চেয়ে বেশি দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ অসাধু কিছু কর্মকর্তা এ কাজটি করছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ নিয়ে সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ। শিক্ষা অফিস বলছে, বৃত্তি প্রদান করা হয়নি তবে কেউ যদি ২-৪ নম্বরের জন্য ফেল বা জিপিএ-৫ না পেয়ে থাকে সেক্ষেত্রে কিছু অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়েছে। গত বছর ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের কোটা ভিত্তিতে সদর উপজেলায় ট্যালেন্টপুলে ১৩০ ও সাধারণ গ্রেডে ১৫৪ ছাত্রছাত্রী বৃত্তি পায়। অভিযোগ আছে, ট্যালেন্টপুলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালেক অর্থের বিনিময়ে বৃত্তি প্রদান করেছেন। বিষয়টি যাতে ধরা না পড়ে সে জন্য দ্রুত খাতাগুলো নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এবারও একই প্রক্রিয়ায় বৃত্তি প্রদানের চেষ্টা চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া আব্দুস সালেক যোগদানের পর থেকে বদলিবাণিজ্য থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক জানান, মূল্যায়ন করে খাতায় দেওয়া নম্বর পরবর্তীতে পাল্টানো হয়। মেধাবীরা বৃত্তি পায়নি অথচ তুলনামূলক কম মেধাবী ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। ৫-১০ হাজার টাকার বিনিময়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ অপকর্ম করেছেন। এছাড়া টাকার বিনিময়ে তিনি অনককে এ প্লাস পাইয়ে দিয়েছেন। আব্দুস সালেক বলেন, ‘অর্থের বিনিময়ে নম্বর পরিবর্তন করে কাউকে বৃত্তি প্রদান করা হয়নি। ২-৪ নম্বরের জন্য কেউ এ প্লাস পায়নি বা ফেল করলে সেক্ষেত্রে এই নম্বর যোগ করে দেওয়া হয়েছে। নম্বর শিট ও খাতা দেখতে চাইলে বলেন, খাতাগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, কোনোক্রমেই মূল্যায়ন খাতার নম্বর পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। কেউ এমনটা করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর