বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

চাঁপাইয়ে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জলাধার ভরাট

নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে খাল-বিল ও জলাধার ভরাটের প্রতিযোগিতা। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এসব খাল-বিল-জলাধার ক্রমান্বয়ে ভরাট হওয়ায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

জানা যায়, জেলা শহরের চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী মহাসড়ক ঘিরে মহানন্দা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় প্রায় শত বছরের প্রাচীন দুটি নয়নজুলি (ডোবা) ছিল। ওই এলাকার বৃষ্টি ও বাড়িঘরে ব্যবহূত পানি ড্রেনের মাধ্যমে দুটি নয়নজুলিতে এসে পড়তো। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কয়েক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহযোগিতা ও প্রশাসনের উদাসীনতার সুযোগে কয়েক বছরের মধ্যে নয়নজুলি ভরাট করে নিয়েছে একটি চক্র। এ ব্যাপারে কয়েক বছর আগে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির একাধিক সভায় অভিযোগ উঠলে প্রথমে তত্কালীন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম ওই নয়নজুলি তার বিভাগের নয় বলে জানান। পরবর্তী সভায় তথ্য প্রমাণ হাজির করলে নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, নয়নজুলিটি সওজের সম্পত্তি হলেও একটি চক্র নিজেদের নামে রেকর্ড করে নিয়েছে। ওই সভার সভাপতি তত্কালীন ডিসি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক কেএম আলী আজম ক্ষোভ প্রকাশ করে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলীকে দ্রুত রেকর্ড সংশোধনের মামলা করার নির্দেশ দেন। দীর্ঘদিনেও নানা অজুহাতে মামলা করা হয়নি।

অন্যদিকে আতাহার-আমনুরা সড়কের দুই ধারে বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে প্রাচীন জলাধার। এ জলাধারের পাশে আছে জেলা পরিষদের মাটি। কয়েক মাস ধরে জলাধারের মালিক দাবিদার জনৈক বেনু মাটি ভরাট করছেন। ভরাটকৃত জমির পানি জমা হয়ে কোটি টাকা ব্যয়ে সদ্য সংস্কার করা সড়কটি হুমকির মুখে পড়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও জলাধারটি ভরাট কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি।

সর্বশেষ খবর