শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বগুড়ায় খুরা রোগ ১০ গরুর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় গবাদি পশুর খুরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গেল কয়েক দিনে এই রোগে অন্তত দশটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরও বেশকিছু গরু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এমনকি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পরও এই রোগে আক্রান্ত পশুকে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এই উপজেলার মানুষ তাদের গবাদি পশু নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্তাদের সেদিকে নজর নেই। জানা যায়— হঠাৎ করেই এই উপজেলায় গবাদি পশুর মধ্যে খুরা রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। গেল কয়েক দিনে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে বেশকিছু গরু-ছাগল এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ঘোলাগাড়ী কলোনী গ্রামের সোহরাব আলীর তিনটি, আবদুল করিমের তিনটি, বুলু মিয়ার একটি, আবদুল গাফ্ফারের একটি ও মামুরশাহী পূর্বপাড়া গ্রামের দুলাল হোসেনের একটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি গরুর অবস্থা খুবই গুরুতর বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী আবদুল গাফ্ফার জানান, প্রথমে গরুর পায়ে ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়। এরপর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। মুখ দিয়ে লালা ঝরে। রোগাক্রান্ত গরুটি হাঁটাচলা করতে পারে না। কোনো প্রকার খাবার খেতে পারে না। স্থানীয়ভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের চিকিৎসকের মাধ্যমে দেওয়া হয় ভ্যাকসিন। এরপরও এই রোগে আক্রান্ত গরুকে বাঁচানো যাচ্ছে না। এদিকে একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম একেবারেই ভেঙে পড়েছে। রোগাক্রান্ত পশুর ব্যাপারে পরামর্শ নিতে সরকারি প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায় না। এই সময়েও বাণিজ্যিকভিত্তিতে পশুর চিকিৎসা দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকেন বলে তারা অভিযোগ করেন। শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক বলেন, খুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে কোনো গবাদি পশু মারা যাওয়ার খবর তার জানা নেই। জনবল সংকটের কথা উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, তার অফিসে মাত্র একজন সম্প্রসারণ কর্মী রয়েছেন। যে কারণে তাদের পক্ষে সব জায়গায় যাওয়া সম্ভব হয় না।

সর্বশেষ খবর