শনিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিদ্যালয়ে ভর্তি বাণিজ্য অসহায় অভিভাবক

বাউফল প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে চলছে ভর্তি বাণিজ্য। কতিপয় অসাধু শিক্ষক বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে ভর্তি করতে গলাকাটা ফি আদায় করছেন। এতে গরিব অভিভাবকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাউফলে ২৩৫টি প্রাথমিক এবং ৬১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রতি বছরই বিদ্যালয়গুলোতে বছরের শুরুতে ভর্তির নামে চলে অর্থ আদায়ে মোটা অঙ্কের বাণিজ্য। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও গলাকাটা ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে সেশনচার্জ নেওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষার্থীদের থেকে আদায় করা হয় ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা। আবার ষষ্ঠ থেকে ৭ম শ্রেণিতে উন্নীত শিক্ষার্থীদের থেকে আদায় করা হয় ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। এভাবে এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে ভর্তি করতে ক্লাসওয়ারি টাকা বেড়ে যায়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে কোনো টাকা নেওয়ার বিধান  নেই। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে ভর্তি করতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা নেওয়া হয়। এমনকি এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে উন্নীত হলে সে ক্ষেত্রেও ২০০ থেকে ৪০০ টাকা নেওয়া হয়। এ সব ভর্তি ফি আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো রসিদ দেওয়া হয় না। নিতান্ত গরিব অভিভাবকরা গলা টাকা ফি দিতে অসম্মতি জানালে তাদের সন্তানরা অনেক সময় শিক্ষকদের রোষানলে পড়েন। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে জানতে চাইলে টাকা আদায়ের কথা অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে বাউফল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল হক বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিতে কোনো টাকা লাগে না। যদি কেউ নিয়ে থাকেন তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব। এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অলি আহাদ বলেন, সেশন ফি বাবদ ৫০০ টাকা নিতে পারবে, এর বেশি নেওয়ার কোনো বিধান নেই। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর