রবিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

২২ জেলার পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের দুর্ভোগ

লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুট

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে নাব্য সংকট, ফেরি স্বল্পতা ও ঘাটের পন্টুনের র‌্যামসহ নানা সমস্যায় যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় মজু চৌধুরীর হাট ফেরিঘাট এলাকায় প্রতিনিয়ত আটকা পড়ে থাকে শত শত যান। এতে ওই রুটে চলাচলকারী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২টি জেলার পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এসব সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে বলে জানালেন বিআইডব্লিউটিসির স্থানীয় কর্মকর্তা। স্থানীয় সংসদ সদস্য আবু নোমান ফেরিঘাটের সমস্যা ও জনদুর্ভোগের বিষয়ে জানান, অচিরেই প্রধানমন্ত্রী ও নৌ পরিবহন মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে সমস্যার সমাধান করা হবে। জানা যায়, চট্টগ্রামের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমের ২২ জেলার সহজ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের লক্ষ্যে চালু করা হয় লক্ষ্মীপুর-ভোলা ফেরি সার্ভিস। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনটি ফেরি দিয়ে ২৮ কিলোমিটার নৌপথের যাত্রীসেবা কার্যক্রম শুরু করে বিআইডব্লিউটিসি। বর্তমানে দুটি ফেরি দিয়ে ঢিমেতালে চলছে নদী পারাপার। কখনো যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল থাকে এ দুটিও। পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, অনিয়মিত সার্ভিস ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় মজুচৌধুরীর হাট ফেরিঘাট এলাকায় প্রতিদিন শত শত যানবাহন আটকা পড়ে থাকে। চাহিদা অনুযায়ী ফেরি না থাকায় দিনের পর দিন পণ্যবাহী যানবাহন অপেক্ষমান থাকতে হয় বলেও জানান পরিবহন শ্রমিকরা। সাধারণ যাত্রীদের অনেক সময় ঘাটে কেটে যায় ২-৩ দিন। থাকা-খাওয়া নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় তাদের। সরজমিনে দেখা যায়, মেঘনার মোহনা লক্ষ্মীপুর এলাকায় ফেরি চলাচলের রুটে পলি জমে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে জোয়ার-ভাটার কারণে রাস্তা ও ঘাটের পন্টুন অসমতল হয়ে পড়া, পন্টুনের র‌্যাম ভেঙে যাওয়ার পর ছোট র‌্যাম স্থাপন করায় যানবাহনগুলো অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে উঠা নামা করছে।

সর্বশেষ খবর