সোমবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

এবার দিনাজপুরে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ৩০

কলেজ জাতীয়করণের আন্দোলন

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরের খানসামা ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে অর্ধদিবস হরতাল চলাকালে গতকাল পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই পুলিশসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১৩ রাউন্ড টিয়ারশেল এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর একই দাবিতে সংঘর্ষে শিক্ষকসহ দুজন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছিলেন। শনিবার খানসামা ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে রবিবার উপজেলায় অর্ধদিবস সর্বাত্মক হরতালের ডাক দেয় জাতীয়করণ বাস্তবায়ন কমিটি। এ দিন সকাল থেকে বন্ধ ছিল খানসামা উপজেলা সদরের সব দোকান-পাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও স্কুল-কলেজ। বেলা ১২টার দিকে খানসামা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মোড় থেকে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে। মিছিলটি থানা অতিক্রম করার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় প্রথমে দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ জনতার উপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। আন্দেলনকারীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। একপর্যায়ে তারা থানাভবন লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে পুরো উপজেলা শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আহত হন পুলিশসহ কমপক্ষে ৩০ জন। পরে বীরগঞ্জ ও দিনাজপুর শহর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে দুপুর আড়াইটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খানসামা ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু হাতেম জানান, পুলিশ বিনা উস্কানিতে জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালায়। হামলার পর আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালায় এবং কমপক্ষে ১০ জন নিরীহ লোককে গ্রেফতার করে। এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে আটক করা হয়েছে পাঁচ অন্দোলনকারীকে। খানসামা থানার ওসি আব্দুল মতিন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। দুজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আশরাফ জানান, কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে হরতালের পর স্থানীয় জনতা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই পুলিশকে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করতে হয়েছে। বর্তমানের পরিস্থিতি শান্ত।

সর্বশেষ খবর