সোমবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

বাঞ্ছারামপুরের আট হাজার শিক্ষার্থী পায়নি নতুন বই

অতিরিক্ত ভর্তি ফি না দেওয়ায়

বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থী নতুন বই পায়নি। এসব বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের কারণে বহু ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতে না পারায় বছরের আটদিন পেরিয়ে গেলেও তাদের বই দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চলতি বছর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ২৬ হাজার ৮৮০ শিক্ষার্থীর জন্য বই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সপ্তম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য নির্ধারিত টাকা না দেওয়া পর্যন্ত বই দিচ্ছেন না। এ কারণে তিন শ্রেণির অর্ধেকেরও বেশি ছাত্রছাত্রী নতুন বই পায়নি। পৌরসভা, উপজেলা সদরে সর্বোচ্চ এক হাজার এবং এর বাইরের স্কুলগুলোতে ৫০০ টাকা হারে ভর্তি ফি নেওয়ার বিধান থাকলেও মানছে না কর্তৃপক্ষ। তারা ৬০০ থেকে শুরু করে এক হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন। দরিয়াদৌলত গ্রামের মনির হোসেন জানান, অষ্টম শ্রেণিতে মেয়েকে ভর্তি করাতে ৫৯০ টাকা দিতে হয়েছে। ভর্তি হওয়ার পর বই দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ফরদাবাদ দক্ষিণপাড়ার সফিক মিয়া জানান, টাকা জোগাড় করতে না পারায় ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারছি না। তাই স্যারেরা বইও দিচ্ছে না। বাঞ্ছারামপুর এসএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোমেন বলেন, ‘স্কুলের নানা খরচ আছে। তাই আমরা ভর্তির সময় কিছু টাকা নিয়ে থাকি। ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বই দিয়ে দিচ্ছি। আগে বই দিলে ভর্তির টাকা নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে।’ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তৌহিদ জানান, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করবে। ভর্তি ছাড়া বই বিতরণ করা হচ্ছে না এটা আমার জানা নেই। বিষয়টি সম্পর্কে খবর নেব। ইউএনও শওকত ওসমান বলেন, ‘স্কুলগুলো অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে বলে আমার কাছে অনেকে অভিযোগ করেছেন। ভর্তি ছাড়া বই না দেওয়ার বিষয়টি অন্যায়।’

সর্বশেষ খবর